মোদীর ভয়ে তটস্থ হয়েই এই সিদ্ধান্ত মমতার! ফের চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য May 23, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিরোধী মহাজোট গঠনের পথে একধাপ এগিয়ে আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজ্যে আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে দুই দলের মধ্যে যে সন্ধিই স্থাপন হোক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মোদীর মুখোমুখি লড়াই করতে অত্যন্ত ভয় পাচ্ছেন, এবার সেই বিষয়টি তুলে ধরলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তার স্পষ্ট কথা, মোদীর সামনে দাঁড়িয়ে কে লড়াই করবে, তা নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণেই সবাই এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুরগি বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, তিনি এর আগে লড়াই করে প্রচুর সিট হারিয়েছেন। তাই এবার তিনিও রাজি হচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ ঘোষের বর্তমান সময়ে এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাংলায় আসা নিয়ে দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই বিজেপি নেতা বলেন, “আসলে মোদীর সামনে কে দাঁড়াবে, তা নিয়ে বিরোধীরা কার্যত ভয়ে রয়েছে। কেউ লড়াই করতে চাইছে না। সেই কারণে সবাই বাইরে থেকে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লড়াই করবার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, দিদি আপনি জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু সবাই বুঝে গিয়েছে যে, মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজি হতে চাইছেন না। কারণ এর আগে লড়াই করে তিনি বহু সিট হারিয়েছেন।” আর দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য নিয়েই নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, কটাক্ষ করেই বিরোধী শিবিরকে এইভাবে আক্রমণ করে খাটো করার চেষ্টা করছেন দিলীপ ঘোষ। আবার অনেকে বলছেন, দিলীপ ঘোষের বক্তব্যটা একেবারে কিন্তু উড়িয়ে দেওয়ার নয়। কারণ এর আগেও 2019 সালে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহাজোট স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন তো বাস্তবায়িত হওয়া দূরের কথা, বরঞ্চ তিনি নিজেই বাংলায় তার আসন ধরে রাখতে পারেননি। বিজেপির বাড়বাড়ন্ত কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে তৃণমূলকে। এমন অবস্থা হয়েছে, এখন রাজ্য পরিচালনা করতে গিয়ে সেই বিজেপির নিঃশ্বাসে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিরোধী জোট গঠনের জন্য আমন্ত্রণ পান বা উদ্যোগও গ্রহণ করেন, তাহলে পরবর্তীতে তিনি আবার অন্য কোনো রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে পাবেন তো! নাকি সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো তাকে উৎসাহ দিয়ে পরবর্তীতে নিজেরা সেখান থেকে সরে যাবে! সেটাও কিন্তু তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরেই বিরোধী জোট গঠনের তোরজোর হতেই রীতিমতো সেই সম্ভাবনাকে ভেস্তে দিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তবে দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য বাস্তব হয় নাকি তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আগামী দিনে বিরোধী মহাজোট তৈরি করতে সক্ষম হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -