এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মদন মিত্র তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষের হাতে ‘মহা অস্ত্র’? মমতার ঘুম উড়িয়ে বিস্ফোরক বিজেপি সেনাপতি

মদন মিত্র তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষের হাতে ‘মহা অস্ত্র’? মমতার ঘুম উড়িয়ে বিস্ফোরক বিজেপি সেনাপতি


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এ দলের খারাপ ফলাফলের পর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে এবং মানুষের সঙ্গে দলের জনসংযোগ স্থাপন করতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরই যে সব থেকে বড় কাল হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি কেউ। প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হওয়ার পর বিরোধীদের তরফে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যাকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে ধরে ছিল রাজনৈতিক মহল।

কিন্তু বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অন্দরে বিদ্রোহ ক্রমশ বাইরে চলে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের এই রাজনৈতিক পরামর্শদাতার গোষ্ঠীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে শীলভদ্র দত্ত জনপ্রতিনিধিকে। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিজেপিতে যোগদান পর্যন্ত করেছেন মিহির গোস্বামী।

সাম্প্রতিককালে সেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে গিয়ে দেখা গেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্দিনের এই সঙ্গী কি করবেন, তা কখনই প্রশান্ত কিশোর ঠিক করে দিতে পারেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আর এবার মদন মিত্রের সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

একাংশ বলেছেন, বর্তমানে বিরোধীদের সেভাবে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু বেছে নিয়ে ময়দানে নামতে হচ্ছে না। বরঞ্চ তৃণমূলের বেশকিছু হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা এমন সব মন্তব্য করতে শুরু করেছেন, যার ফলে বিরোধীদের কাছে এমনিতেই তা হাতিয়ার হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে। আর এর ফলে নির্বাচনের আগে সেইসব বিষয়েকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবং দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে দাবি একাংশের।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি বেসরকারি চ্যানেলের একটি সাক্ষাৎকারে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বলেন, “আমি কামারহাটির মানুষকে কেমন করে পাব, তা পিকে আমাকে শেখাবেন, এটা ভাবা ভুল। কাল যদি হনুমান মন্দির উদ্বোধনে যাই, সেখানে কালো সালোয়ার পড়ব, নাকি কমলা টিপ পড়ব, তা ওরা বলে দেবে! পিকে শুধু মাত্র দলের স্ট্র্যাটেজিস্ট, এর বেশি কেউ নন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই মদন মিত্রের এই বক্তব্য কার্যত হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায় বিরোধীদের কাছে। আর সেই প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল নেত্রীর অস্বস্তি বাড়িয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রশান্ত কিশোরের নাম না করে তিনি বলেন, “বিহার থেকে শুরু করলেন “বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচি। ঘূর্ণিঝড়ে সেই সমস্ত ব্যানার ছিঁড়ে গেল। কি পোশাক পড়বে, কি খাবে, সবকিছু ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। তাই আওয়াজ উঠেছে, পিকে হটাও, তৃণমূল বাঁচাও।”

স্বভাবতই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তৃণমূলের একাংশের যে বিদ্রোহ তৈরি হয়েছে, তাতে আরও ঘি ঢেলে দিয়ে শাসকদলের অস্বস্তি নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। পর্যবেক্ষকদের মতে, যে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনকে চাঙ্গা করবেন বলে মনস্থির করা হয়েছিল, এবার সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করেছে। একের পর এক নেতা প্রশান্ত কিশোরের বাড়াবাড়ি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।

বর্তমানে প্রকাশ্যে সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা মন্তব্য করায় কার্যত অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। আর এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের করা মন্তব্য বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াল ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পাল্টা সেই প্রশান্ত কিশোর এবং তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!