এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মহা-দায়িত্ব পেয়েই মহাসচিবের দ্বারস্থ অভিষেক, বৈঠক ঘিরে জল্পনা!

মহা-দায়িত্ব পেয়েই মহাসচিবের দ্বারস্থ অভিষেক, বৈঠক ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  শনিবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন তাকে মাদার তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কার্যত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড করে দেওয়া হয়েছে তাকে। যুব তৃনমূলের সভাপতি পদ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে তার উত্তরণ ঘটিয়ে তাকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

বলা বাহুল্য, এতদিন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সুব্রত বক্সী। কিন্তু এবার সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তারলাভ করাতে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা করতে শুরু করেছেন, তা এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার।

অর্থাৎ ভবিষ্যতের জন্য তৃনমূল কংগ্রেসকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সাফল্য পাইয়ে দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে নতুন দায়িত্বে বসার পরেই গুরুজনদের আশীর্বাদ নিতে ছুটে গেলেন তৃণমূলের নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ছুটির দিনে তৃণমূল মহাসচিব তথা বর্ষিয়ান নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান তিনি। দীর্ঘক্ষন তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

বস্তুত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের মহাসচিবের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই কথা জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছোট থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড় হতে দেখছেন তিনি। আর সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পাওয়ার পরেই অভিভাবক হিসেবে মানা পার্থবাবুর বাড়িতে গিয়ে তার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। পাল্টা তাঁকে আশীর্বাদ করলেন তৃণমূল মহাসচিব।

ভবিষ্যতের জন্য দিলেন শুভেচ্ছা। স্বাভাবিক ভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পাওয়ার পরেই যেভাবে বর্ষিয়ান নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করলেন এবং তাকে প্রণাম করলেন, তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে পরিপক্ক রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন, তা পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, গুরুজনকে প্রণাম করা রীতির মধ্যে পড়ে। এক্ষেত্রে ভালো কোনো জায়গায় পৌঁছে গেলে বা যে কোনো পরীক্ষায় ভালো ফল করলে ছেলে-মেয়েরা এসে তাদের পরিবারের গুরুজনদের প্রণাম করে আশীর্বাদ নেয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো হওয়ার সুবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়ার পরেই দলের অন্দরে নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকি প্রকাশ্যে কেউ এই ব্যাপারে কথা বলতে না পারলেও, বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন।

এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে কোনো রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই, শুধুমাত্র তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো হওয়ার কারণে যে বাড়তি সুবিধা পান, সেই কথাও শোনা গিয়েছিল অনেকের গলায়। তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পেছনে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে, তা বলাই যায়। আর সেই মত করেই শনিবার গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকের পর সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

আর দায়িত্ব পাওয়ার পরের দিন দলের বর্ষিয়ান নেতা তথা মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে তারা আশীর্বাদ নিয়ে নয়া ইনিংস শুরু করতে চাইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের কাছে শিক্ষণীয় বিষয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!