এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মহালয়ায় মুখমন্ত্রীর টুইট ঘিরে জল্পনা, জেনে

মহালয়ায় মুখমন্ত্রীর টুইট ঘিরে জল্পনা, জেনে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, বাতাসে কাশফুলের গন্ধ। পুজো আসছে। কিন্তু কোথাও যেন একটা পুজোর তাল কেটে গেছে। বছরের প্রায় দোরগোড়া থেকেই শুরু হয়েছিল করোনার তান্ডব, যা এখনো বজায় রয়েছে। এ বছরে মানুষের আতঙ্ক ও দুর্দশার শেষ নেই। নেই কোনো বিকিকিনি। এই অবস্থায় দুর্গাপুজোর রাতে জনমানসের ঢল দেখতে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো মেসেজও ছড়িয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই সদর্থক চিন্তাভাবনায় সামিল হয়েছেন।

মহালয়ার দিন এ ব্যাপারে তিনি সদর্পে ঘোষণা করলেন, দুর্গাপুজোর উদ্দীপনাকে এবার কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবেনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ‘মহালয়ার প্রতিশ্রুতি’ নামক একটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে পূজো সংক্রান্ত তাঁর সদর্থক চিন্তাভাবনা শেয়ার করেছেন টুইটারে। অনেকেই মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভুয়ো প্রচার শুরু হয়েছিল পুজো বন্ধ নিয়ে, তারই জবাব দিলেন। অন্যদিকে পুজো নিয়ে বর্তমানে শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, যার রেশ টের পাওয়া গেছে মহালয়াতেই।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর টুইটের জবাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু তিনি একসময় মহরমের জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন আটকেছেন। অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলকেই বিঁধেছেন। তাঁর মতে, পুজো নিয়ে ক্লাব দখলের রাজনীতি যেমন হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই এখন ধর্মীয় রাজনীতিও চলছে। সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পুজো হোক স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য সরাসরি তৃণমূল ও বিজেপির দিকে অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, এই দুই দল ধর্মীয় রাজনীতির হিসাব কষছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে 25 সেপ্টেম্বর রাজ্যের পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্য পুলিশ, পুরসভা, দমকল, সিইএসসি ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী পুজো নিয়ে যাবতীয় সরকারি নির্দেশ, আচরণবিধি ওইদিন জানাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি মন্ডপ যেন খোলামেলা হয়। দর্শনার্থীদের ভিড় যেন না জমে।

তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, দুর্গাপুজো করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হলেও বিসর্জনের কার্নিভাল কি এবার প্রতিবারের মত দেখা যাবে? যদি তাই হয়, তাহলে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি কিভাবে বজায় রাখা যাবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দূর্গাপুজো সম্পন্ন করা এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বলাই বাহুল্য, এই চ্যালেঞ্জ যদি তৃণমূল জিতে যায় তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা কয়েক কদম এগিয়ে থাকবে। সবার নজর এখন করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কিভাবে দুর্গাপুজো সম্পন্ন হয় তার দিকে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে কি আরেকদফা করোনা সংক্রমনের হার বাড়বে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!