এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মহামারীতে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিয়ে আজই সিদ্ধান্ত? কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠকে বাড়ছে জল্পনা!

মহামারীতে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিয়ে আজই সিদ্ধান্ত? কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠকে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এক বছর আগেকার ভয়াবহ পরিস্থিতি আবার ফিরে এসেছে ভারতবর্ষ জুড়ে। করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের পর আবার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। যার জেরে বিগত বছরের মত এবারেও বেশকিছু পরীক্ষা বাতিল করতে হয়েছে। অনলাইন পড়াশোনার ওপর জোর দিয়েছে সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে আগের বছরের মত এবারও যদি বেশ কিছু পরীক্ষা এই করোনা ভাইরাসের জন্য বাতিল করতে হয়, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা মহলের কাছে। একাংশ বলছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন আগে।

তাই এই পরিস্থিতি বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত শিক্ষা দপ্তরের। তবে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমলে পরীক্ষা নেওয়া হবে। অর্থাৎ মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে, তা কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর এই পরিস্থিতিতে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে বড়সড় বৈঠক করতে চলেছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলো। যে বৈঠককে কেন্দ্র করে বাড়তে শুরু করেছে জল্পনা। আজকের এই বৈঠক থেকেই দ্বাদশ শ্রেণীর একাধিক বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, আজ রবিবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলো। যেখানে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব এবং বোর্ড কর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বৈঠক থেকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একাংশ বলেছেন, ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের গ্রাফ কিছুটা হলেও নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই পরিস্থিতিতে আগের বছরের মত এবারও যদি ছাত্রছাত্রীরা জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, তাহলে তাদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় এবং ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা বড় সংশয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সকলেই চাইছে, করোনা পরিস্থিতি সামলে গেলে স্বাভাবিক নিয়মেই পরীক্ষা ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী একটি টুইট করেছেন। যেখানে তিনি লেখেন, “নিজের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে প্রভাব ফেলবে, তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সকল রাজ্য সরকার এবং সব পক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হোক, এমনটাই চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।”

তবে আশ্চর্যজনকভাবে প্রতিটি রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রীকে এই বৈঠকে থাকতে বলা হলেও, সেখানে উপস্থিত থাকছেন না পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে তার বদলে শিক্ষা দপ্তরের সচিব এই বৈঠকে থাকবেন বলে খবর। কিন্তু এত বড় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ক্ষেত্রে রাজ্যের মন্ত্রীর উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অভিভাবক অভিভাবিকা, এমনকি সর্বোপরি ছাত্র-ছাত্রীরা তাকিয়ে রয়েছে এই পরীক্ষা ব্যবস্থার দিকে‌।

কিভাবে পরীক্ষা হয়, আদৌ পরীক্ষা হবে কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে গোটা পরিস্থিতি যেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে প্রভাব না ফেলে যাতে সেই পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ করা যায়, সেই রাস্তায় হাঁটতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। সব মিলিয়ে করোনা মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বৈঠক থেকে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!