এখন পড়ছেন
হোম > খেলা > নাটকীয় মোড় মহমেডান-ইস্টবেঙ্গল মিনি-ডার্বিতে, আগাম সেলিব্রেশন শুরু সবুজ-মেরুনে

নাটকীয় মোড় মহমেডান-ইস্টবেঙ্গল মিনি-ডার্বিতে, আগাম সেলিব্রেশন শুরু সবুজ-মেরুনে


কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লীগ বা সিএফএল আর ইস্টবেঙ্গল যেন সমার্থক হয়ে উঠেছিল গত ৮ বছর ধরে। সর্বভারতীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে সে অর্থে কোন সাফল্য না পেলেও শতাব্দী প্রাচীন ঘরোয়া লীগটি কিন্তু ঠিক যাচ্ছিল লাল-হলুদ শিবিরে। আর তাই, এবছরে ট্রফি জয়ের হ্যাট্রিকের হ্যাট্রিক করতে প্রথম থেকেই মুখিয়ে ছিল ইলিশ-মশালের দল। কিন্তু, সবুজ-মেরুন ব্রিগেড যে এত সহজে ছেড়ে দেবে না, প্রতিটা ম্যাচেই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ছেলেরা।

ক্লাবে কর্তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা তার জেরে খেলোয়াড়দের মেইন আটকে যাওয়া – ফোকাস নড়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু বরফ-শীতল মাথার ‘ডাউন-টু-আর্থ’ শঙ্করলাল চক্রবর্তী কোনো কিছুতেই নিজেদের দলের খেলোয়াড়দের ফোকাস নড়তে দেন নি। আর তাই, প্রতি ম্যাচের শেষেই প্রত্যাশার ফানুসটা আরো উঁচুতে উঠছিল মোহন জনতার। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে চলে লীগের বড় ম্যাচ পর্যন্ত। দুটি দলই একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে ছিল সেই ম্যাচের শেষে। ২-২ গোলে অমীমাংসিত সেই ম্যাচের শেষে দুই দলেরই পয়েন্ট দাঁড়ায় ৮ ম্যাচে ২০, গোল পার্থক্যও সমান (১৩)।

আপামর বাংলার ফুটবল প্রেমীরা যখন এবারের সিএফএলের ফটো ফিলিসের অপেক্ষা করছে, তখন সবুজ-মেরুন ব্রিগেড পরের ম্যাচেই এফসিআইকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গোলপার্থক্য বাড়িয়ে নেয়। কিন্তু পদস্খলন ঘটে ইস্টবেঙ্গলের, পরের ম্যাচে তারা হেরে যায় পিয়ারলেসের কাছে ১-২ গোলে। তখন থেকেই লীগ জয়ের গন্ধে ম-ম করছিল গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের তাঁবু। তবু, মনের মধ্যে কোথাও একটা যেন শঙ্কা ছিল – শেষ মুহূর্তে এসে পদস্খলন হবে না তো? খেলোয়াড়রা ফোকাস ঠিক রাখতে পারবে তো?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর আজ, সেই আবহের মধ্যেই যুবভারতীতে ছিল মিনি ডার্বি। মহামেডানের সঙ্গে সেই খেলায় প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল, ম্যাচের ১২ মিনিটে রালতের কর্নার থেকে ফানাইয়ের শট মহমেডান গোলকীপার অরূপ দেবনাথ আংশিক প্রতিহত করলে গোলে বল ঠেলে দেন বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্তা। কিন্তু খেলার প্রায় শেষ লগ্নে এসে, ম্যাচের ৮৭ মিনিটে মহামেডানের ফিলিপ খেলায় সমতায় ফেরান দলকে।

এরপরে চতুর্থ রেফারি অতিরিক্ত ৬ মিনিট সময় দেন – কিন্তু ৯৪ মিনিটের মাথায় মহামেডানের ফিলিপ নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে লাল-হলুদের সব আশায় জল ঢেলে দেন। এরপর রেফারি দীপু রায় অতিরিক্ত ৬ মিনিটের জায়গায় অতিরিক্ত ১২ মিনিট খেলান – কিন্তু আর সমতায় ফিরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ফলে তারা প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের থেকে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়ল। আর তাই পরের খেলায় যদি মোহনবাগান জিতে যায় – তাহলে অপ্রতিরোধ্য ২৬ পয়েন্টে পৌঁছে লীগ জিতে যাবে – আর তাই মিনি ডার্বির নাটকীয় ঘনঘটার মধ্যেই মোহন তাঁবুতে সবুজ আবির খেলার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!