এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মোহন ভাগবতের নতুন রাজনৈতিক ‘কৌশলে’ চূড়ান্ত জল্পনা বঙ্গ-রাজনীতির আকাশে

মোহন ভাগবতের নতুন রাজনৈতিক ‘কৌশলে’ চূড়ান্ত জল্পনা বঙ্গ-রাজনীতির আকাশে


2014 থেকে 2019 – আর এই সময়ের মধ্যেই রাজনৈতিক আকাশে বিজেপির উত্থানকে বলা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের স্বর্নযুগ। কেননা এইসময় বঙ্গের রুক্ষ জমিতেও নিজেদের সাংসদ সংখ্যা 2 থেকে বাড়িয়ে 18 করে নিয়েছে তারা। আর তাই এবার পাখির চোখ বাংলার 2021 এর বিধানসভা ভোট। লক্ষ্য জয়ের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই বিজেপি ভোটের ময়দানে নেমেছে নানান রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে। আর এ নিয়ে রবিবার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।

রবিবার ছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক, আর সেই বৈঠকে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বার্তা দিলেন বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে দল যেন তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলে। রবিবার বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বিজেপির সংগঠন কি করে বাড়ানো যায় সেই নিয়ে চলেছে দীর্ঘ আলোচনা বলে জানা গেছে। আর তার সাথেই বাংলাতেও কি করে এনআরসি চালু করা যায় – সেই পরিকল্পনা নিয়েও নাকি বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলায় বিজেপির ওপর রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে মোহন ভাগবতকে এক বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেছেন। প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে কলকাতা আরএসএস এর সদর দপ্তরে বঙ্গ-বিজেপির শীর্ষ নেতা সহ সঙ্ঘ পরিবার সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মোহন ভাগবত। হাই-প্রোফাইল এই বৈঠকে গতকাল গেরুয়া শিবিরের তরফে ছিল চাঁদের হাট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, কেন্দ্রীয় নেতা শিব প্রকাশ থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। এদিন বৈঠকে সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়েও এক দীর্ঘ পর্যালোচনা চলে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা বা এনআরসি বিজেপির পুরনো কর্মসূচি বলে চিহ্নিত।

আর এ রাজ্যের বিজেপি প্রথম থেকেই এনআরসি চালু নিয়ে ইতিবাচক মতামত দিয়ে এসেছে। অনুপ্রবেশকারী আটকানোর সাথে সাথে সীমান্তবর্তী এলাকায় লোকসভা ভোটে বিজেপি ভালো ফল করার কারণে সেদিকে সংগঠন বাড়াতে চাইছে সংঘ পরিবার। পশ্চিমবঙ্গের এনআরসি চালুর ক্ষেত্রে সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারির সাথে সাথে দলীয় সংগঠন কি করে বাড়ানো যায় সে বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

এ ব্যাপারে স্বয়ং মোহন ভাগবত সীমান্তবর্তী জেলা গুলি বেছে দিয়েছেন সংগঠন বাড়ানোর জন্য। এদিনের বৈঠক নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘চিন্তন বৈঠক ছিল। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছি। আর সংগঠন কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

অতএব রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, বিজেপি বিধানসভা ভোটে সংগঠন বাড়ানোর সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গের অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে চলেছে অর্থাৎ বাংলায় এনআরসি লাগু করতে সদর্থক পদক্ষেপ নিতে চলেছে। আর মোহন ভাগবতের এহেন নতুন রাজনৈতিক কৌশলে অর্থাৎ একদিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগঠন বাড়ানো ও এখন থেকেই এনআরসি নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারতে বলার অর্থই হচ্ছে – বাংলায় ক্ষমতা দখলে এবার কার্যত ‘অল আউট’ যেতে পারে গেরুয়া শিবির বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!