এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডামাডোল মেটাতে এবার আসরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী? মোহনবাগান সচিবের পদক্ষেপে বাড়ল জল্পনা

ডামাডোল মেটাতে এবার আসরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী? মোহনবাগান সচিবের পদক্ষেপে বাড়ল জল্পনা

সম্প্রতি মোহনবাগানের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র। এ বিষয়ে দলের মেম্বারদের সঙ্গে আলোচনা করতে কার্যকারী কমিটির মিটিং এর আয়োজনও করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে গোটা ঘটনাই বিস্তারে জানানো হবে ক্লাবের পক্ষ থেকে এবং এতে উল্লেখ করা হবে এজিএমের ঘটনাটিও। এ প্রসঙ্গে পাওয়া গেলো অঞ্জন বাবুর বক্তব্য। তিনি জানান যে এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে। কার্যকারী কমিটির পরই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি যাবে কমিটির পক্ষ থেকে। একথা শুনে বিরোধীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব দেবাশিস দত্ত জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইবে,এটা ভালো ব্যাপার। তবে,মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদেরও পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এজিএমের ‘নক্ক্যারজনক’ ঘটনা প্রসঙ্গে মোহনবাগান সচিব জানান যে এজিএমে সেদিন প্রায় ১৫০০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এদের ভিতর ২০ জন ছেলে অসভ্য আচরণ করছিলে। ওঁরা অসভ্যতা করতেই মাঠে আসে। ওঁদের মুখ মোটামুটি সকালেরই চেনা তাই আলাদা করে শনাক্ত করার দরকার নেই। শুধুমাত্র ভিডিও ফুটেজই যথেষ্ঠ ওদের চিহ্নিত করার জন্যে। ওদের বাছাই করার পর ক্লাবের কার্যকারী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসে ঠিক করা হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। দরকার পড়লে আইনি ব্যবস্থা নিতেও পিছনা হবেননা কমিটি মেম্বাররা।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এ প্রসঙ্গে এজিএমের ফুটবল সেক্রেটারি তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন ব্যানার্জী বলেন যে আইন আইনের পথেই চলবে। এ শুনে বিরোধীগোষ্ঠীর অন্যতম মুখ দেবাশিস দত্ত জানান যে স্বপনবাবু ঠিকই বলেছেন তবে একজনের কথায় নিশ্চয়ই মোহনবাগান ক্লাব চলবে না! তাই কে কী বললো সে কথায় গুরুত্ব দেওয়ার অতো দরকার নেই। ক্ষমতা সকলের মধ্যেই ভাগ করা রয়েছে,শুধু একজনের হাতে রাশ নেই। এটুকু বলার পর আরো জানালেন যে, মোহনবাগান আসলে সাধারণ সদস্যদের ক্লাব। আর এজিএমের সাধারণ সদস্যরা তো টুটু বসুকেই সভাপতি মেনে নিয়েছেন। এরপর কার্যকারী কমিটির কোনো ভূমিকাই থাকতে পারেনা। একজনের ইচ্ছেতে ক্লাব চলবে না বলেও হুঁসিয়ারী দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন ব্যানার্জী সরব হয়ে জানান যে স্বপনবাবু নাকি তাকে কটাক্ষ করে একসময় বলেছিলেন তিনি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন। এই কথার বিরুদ্ধে প্রসূনবাবু প্রতিবাদ তুলে বলেন যে মোহনবাগানের তিনি ১৭ বছর খেলেছেন। একজন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলারের বিরুদ্ধে এই ভাষায় কথা বললেন তিনি কীভাবে! এবং তিনি আরো জানান যে স্বপনবাবুর কথায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন। আর এরপর জোর দিয়ে বলেন যে তিনি না থাকলে আজ এজিএম দাঁড়াতেই পারতো না। টুটু বসু,অঞ্জন মিত্রকে তিনিই মিটিং করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। মোহনবাগান কারোর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ক্লাবটি ভালোভাবে চলুক এটাই কামনা করেন তিনি। অন্যদিকে, স্বপন ব্যানার্জি আবার অভিযোগে সরব হয়ে জানিয়েছেন যে, তাকে নাকি মা তুলে কটু মন্তব্য করা হয়েছে। তবুও তিনি নাকি মাথা ঠান্ডা করে এজিএমে ছিলেন। এসব তীব্র ধিক্কার জানালেন তিনি এদিন। আপাতত অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের জেরেই মোহনবাগানের দলীয় অন্দরে তীব্র চাপানউতোর চলছে,এমটাই জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!