এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মহুয়ার সভায় অনুপস্থিত বিধায়ক সহ পদাধিকারী, বদলের নির্দেশ নেত্রীর

মহুয়ার সভায় অনুপস্থিত বিধায়ক সহ পদাধিকারী, বদলের নির্দেশ নেত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নদীয়া জেলার সভাপতি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়া মৈত্রকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই তার নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে জেলাজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকেই অভিযোগ করতে শুরু করেন, মহুয়া মৈত্র প্রবীণ নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মত করে চলতে শুরু করেছেন। এই সমস্ত কিছুকে কোনোকালেই গুরুত্ব না দিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে দেখা যায় নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভানেত্রীকে।

আর এবার ভাইফোঁটার দিন দলের কর্মীসভায় অনুপস্থিত বেশকিছু নেতাকে গরহাজির থাকতে দেখে এক সপ্তাহের মধ্যে চারটি অঞ্চল সভাপতি বদলির নির্দেশ দিলেন মহুয়া মৈত্র। যাকে কেন্দ্র করে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। যেভাবে দলের একটি কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকার জন্য চারটি অঞ্চলের সভাপতির ওপর কোপ পড়ল, তাতে দলের অসন্তোষ এখানে ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, সোমবার তেহট্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া মৈত্র। কিন্তু এই কর্মীসভায় অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় স্থানীয় বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত সহ তার বেশ কিছু অনুগামীদের। বলা বাহুল্য, নদীয়া জেলার সভাপতি ছিলেন গৌরীশঙ্কর দত্ত। তবে মহুয়া মৈত্র সভাপতি হওয়ার পর তার বেশ কিছু সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমনকি জেলাজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয় যে, গৌরীবাবুর সঙ্গে মহুয়াদেবীর ব্যাপক দ্বন্দ্ব রয়েছে। আর এদিন দলীয় কর্মসূচিতে জেলা সভানেত্রী উপস্থিত থাকলেও, সেখানে স্থানীয় বিধায়ক এবং তার অনুগামীদের অনুপস্থিতি সেই ইঙ্গিতই আরও স্পষ্ট করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, “আমরা 2016 সালে এই বিধানসভায় কুড়ি হাজার ভোটে জিতেছি। লোকসভায় 2 হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। বিধানসভা ভোটে জিততে গেলে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বিরোধী দল থাকার সময় যেভাবে আমরা সারাদিন সভা করে মানুষের পাশে দাঁড়াতাম, সেভাবে আবার জেগে উঠতে হবে। আমাদের একটাই দল। এখানে কোনো কোন্দল নেই। যদি দল না থাকে, তাহলে নেতাকর্মীর কোনো অস্তিত্ব নেই। তাই আমাদের সকলকে এক সঙ্গে লড়াই করতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই বেশ কিছু অঞ্চল সভাপতিকে উঠে দাঁড়াতে বলেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু চারটি অঞ্চলের সভাপতি এখানে অনুপস্থিত থাকায় তাদেরকে এক সপ্তাহের মধ্যে বদল করার নির্দেশ দেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এদিনের এই কর্মসূচিতে কেন অনুপস্থিত থাকলেন তৃণমূল বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত? এদিন এই প্রসঙ্গে গৌরীবাবু বলেন, “জেলা সভাপতি আমাকে ফোনেই সভার কথা জানিয়েছিলেন‌ ভাইফোঁটা বাঙালির সমাজের জীবনের অঙ্গ। এদিন তা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। আমার রাজনৈতিক জীবনে কখনও এইদিনে তৃণমূল দলকে কোনো কর্মসূচি রাখতে দেখিনি।”

অর্থাৎ মহুয়া মৈত্রের এই সভা নিয়ে তিনি যে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ, তা নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার করে দিলেন গৌরীশঙ্কর দত্ত। যার ফলে তৃণমূলের কোন্দল আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!