এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বৃহত্তর শিক্ষক স্বার্থে এবার কি বিজেপি-বাম-কংগ্রেসকে মিলিয়ে দিতে চলেছেন মইদুল ইসলাম?

বৃহত্তর শিক্ষক স্বার্থে এবার কি বিজেপি-বাম-কংগ্রেসকে মিলিয়ে দিতে চলেছেন মইদুল ইসলাম?


রাজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্যতম বড় ইস্যু – প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-বঞ্চনা। চাকরি বাঁচাতে অনেক কষ্টে কেন্দ্রের সব নিয়মকানুন ও শিক্ষাগত যোগ্যতা মানতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক – অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকেই চাকরি করতে করতেই অতিরিক্ত মেহনত করে পাশ করতে হয়েছে নতুন শিক্ষাগত যোগ্যতা। কিন্তু, এত কিছুর পরেও ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষকদের থেকে বেতন-বৈষ্যম্যের জ্বালায় প্রতিপদে বঞ্চিত হতে হচ্ছে রাজ্যের শিক্ষকদের – এমনটাই দাবি শিক্ষকমহলের।

আর তাই, সেই বঞ্চনার প্রতিবাদে এবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলেছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক। পিআরটি স্কেলের দাবিতে আগামী ২৯ শে অক্টোবর থেকে কলকাতায় শহীদ মিনারের পাদদেশে এক বৃহত্তর ধর্ণা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বা ইউইউপিটিডব্লুএ। কিছুদিন আগেই সংগঠনের তরফে কলকাতায় প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে এক বৃহত্তর আন্দোলন করা হয়। আর এবার, সেই আন্দোলনকে তীব্রতর করতে চলেছেন সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্ত্ব, বলে জানা গেছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সংগঠনের তরফে এই বৃহত্তর ধর্ণা ও আন্দোলন কর্মসূচির ভাবনার অন্যতম রূপকার রাজ্য-সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস এর আগেই একান্ত সাক্ষাৎকারে আমাদের জানিয়েছিলেন, শুধু হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাই নন, তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও – সবমিলিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। আর এবার, এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা রাজ্যের প্রতিবাদী শিক্ষক মইদুল ইসলাম নিজে চান কোন রাজনৈতিক রঙ না দেখে সমাজের সর্বস্তরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব, বুদ্ধিজীবী, গণ-সংগঠন রাজ্যের শিক্ষকদের স্বার্থরক্ষায় তাঁদের পাশে দাঁড়ান। আর এই প্রসঙ্গে তিনি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই, তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য তিনি বাম-পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠ করেছেন। আলোচনায় বসেছেন প্রখ্যাত আইনজীবী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে।

এছাড়াও, হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কলকাতার বাসভবনের কাছে এক কর্মসূচিতে গিয়ে হঠাৎ তাঁর দেখা পাওয়ায় সরাসরি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁকেও। এই প্রসঙ্গে মইদুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের মত শিক্ষকদের কাজ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষার আলো দেওয়া। কিন্তু, খালি পেটে তো আর শিক্ষার অঙ্গীকার রক্ষা করা সম্ভব হয় না! বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির বাজারে রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক বড় অসহায় অবস্থায় আছেন – আর তাই, নিতান্ত নিরুপায় হয়েই শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় এবার আমাদের এই বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে হচ্ছে। আর সেই মানবিক আন্দোলনে – আমরা সমস্ত রাজনৈতিক রঙ ভুলে সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে সমর্থনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

মইদুলবাবু আরও জানান, আমাদের এই ধর্ণা ও আন্দোলন কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই আমাদের সংগঠনের তরফে আমরা সুজন চক্রবর্তী, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, মুকুল রায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এছাড়াও, আমাদের কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে আমরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্য্যকান্ত মিশ্র, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দদেব মুখার্জি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী অশোকনাথ বসু, কবি মন্দাক্রান্তা সেন প্রমুখ রাজ্য-রাজনীতির সমস্ত হেভিওয়েট নেতা ও বুদ্ধিজীবী মহলকে আমন্ত্রণ জানাবো। শুধু তাই নয়, আমাদের আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছাবে রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষনেতাদের কাছেও। কেননা আমাদের আন্দোলন অত্যন্ত মানবিক এবং এখানে শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষা করে একমাত্র লক্ষ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!