মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে আদালতের সমস্ত নির্দেশ মেনে কিভাবে সেজে উঠেছে গঙ্গাসাগর? জানুন বিস্তারিত অন্যান্য পুজো, শাস্ত্র ও ভাগ্য January 14, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ মকর সংক্রান্তি। পূণ্য স্নানের দিন। গঙ্গাসাগরে এই দিনটিতে লক্ষ্য লক্ষ্য ভক্তের সমাগম হয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এর আগেও বিভিন্ন উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কোর্ট। আর সেখানে কুম্ভমেলার পর ভারতের অন্যতম বৃহৎ তীর্থযাত্রা হিসেবে গঙ্গাসাগর মেলা অন্যতম। আর এই মেলাকে কেন্দ্র করে যাতে করোনা পরিস্থিতি নতুন করে না মাথা চাড়া দেয়, তাই কোর্টের তরফে এই মেলা অনুষ্ঠিত করা নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সামনে এসেছিল। তবে জানা গেছে, এই মেলা নিয়ে কোর্টের নিষেধাজ্ঞা আর নেই। বিজ্ঞানীদের কথায়, যেহেতু গঙ্গাসাগরের জল বহমান, তাই জলে একসঙ্গে অনকে মানুষের স্নান করলে সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্ট এর তরফে রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের প্রশাসনকে ই–স্নানের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতেই বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকারকে ই–স্নানের কিট পুণ্যার্থীদের বিনামূল্যে দিতে হবে বলেই আদালত থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও যাঁরা বাড়িতে বসে ই–স্নানের কিট সংগ্রহ করতে চান তাঁদের ক্ষেত্রে শুধু পরিবহণ মূল্যের বিনিময়ে সেই কিট প্রশাসনকে পৌঁছে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, করোনা পরিস্থিতি যাতে আবারও মাথা চাড়া দিতে না পারে, তাই আগাম সতর্কতার জন্য সরকারের তরফে মেলার সময় ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। সেইসঙ্গে সকলকে করোনাবিধি মেনে চলতে হবে বলেও জানান হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও এই বছর অন্যান্যবারের তুলনায় পুণ্যার্থী সমাগম প্রায় হয়নি, তবুও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত তীর্থযাত্রীদের করোনা বিধি মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গে মেলাপ্রাঙ্গণে পৌঁছানোর আগে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা (আরএটি) করা নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে তিনি এই বছর মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে মেলাটি ছোট করে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর মতে, এর কারণ করোনা পরিস্থিতি পুনরায় সঙ্গীন হয়ে উঠুক সেটা কোনো ভাবেই তাঁর কাছে কাম্য নয়। তাই এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কোনো পুণ্যার্থীকেই মেলায় আসতে বাধা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই সেক্ষেত্রে প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে এবং দায়িত্ববান হয়ে কাজ করতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে অনলাইনেও এই মেলার অংশ হওয়া যাবে বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে মেলা প্রাঙ্গণে ১৩ টি প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং ক্যাম্প, ৬০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি কোভিড -১৯ হাসপাতাল, ৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৮টি সেফ হোম, ১১ টি কোয়ারেন্টিন সেন্টার এবং ৫টি আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ড্রোন, জলের অ্যাম্বুলেন্স এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান হয়। যদিও সেখানে এত কিছুর পরেও আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সাধারণ মানুষ, তবে কাল সেখানে সবুজ সংকেত পাওয়ায় আজ কোনো রকম বিঘ্ন ঘটবে না বলেই মনে করছেন পুণ্যার্থীরা। আপনার মতামত জানান -