এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার আবেদন উড়িয়েই দলের মধ্যে গোষ্ঠী বিভাজন আরও স্পষ্ট! বিধানসভার আগে ঘুম উড়ছে তৃণমূলের?

মমতার আবেদন উড়িয়েই দলের মধ্যে গোষ্ঠী বিভাজন আরও স্পষ্ট! বিধানসভার আগে ঘুম উড়ছে তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সকলে মিলে যাতে কাজ করেন, তার জন্য বারবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে এসে গোষ্ঠী কোন্দল যাতে না হয়, তার জন্য বার্তা দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আটকানো গেল না। এবার কোলাঘাটে কর্মী সভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বয়ং দলনেত্রী বার্তা দিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও যেভাবে দলের গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত রয়েছে, তাতে রীতিমত চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে।

সূত্রের খবর, এদিন দেউলিয়া হীরারাম হাইস্কুলের অডিটোরিয়ামে কোলাঘাট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি, রাজ্য যুব তৃনমূলের সহ-সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, যুব তৃনমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম মাইতি, তৃণমূল নেতা তরুণ ঘোড়াই এবং বিপ্লব রায় চৌধুরীর অনুগামীরা। তবে এই সভায় উপস্থিত হতে দেখা যায়নি কোলাঘাট ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার অনুগামীদের। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল।

অনেকে বলছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের সঙ্গে খুব একটা ভালো সখ্যতা নেই অখিল গিরি এবং তার ছেলে সুপ্রকাশ গিরির। অন্যদিকে প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরীর সঙ্গে অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর গন্ডগোল দীর্ঘদিনের। আবার অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ফলে তিনি এবং তার অনুগামীরা এদিনের দলীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ায় কার্যত জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। একাংশের মতে, বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে সেই শুভেন্দুবাবুর অনুগামী অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার অনুগামীদের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত না থাকা চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে শাসকদলের বলেই দাবি একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে কি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি? কেন তিনি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে তো এই কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি। আর ব্লকের দলের 80% নেতাকর্মী ওই কর্মসূচিতে যাননি। যারা এই কর্মসূচির আয়োজন করেছেন, তারা দলের পতাকা হাতে নিয়ে দলেরই ক্ষতি করছেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে সভার উদ্যোক্তা বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, “অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের কর্মী মারফত এই কর্মসূচির ব্যাপারে খবর পাঠানো হয়েছিল। উনি আসেননি। তবে কোলাঘাটে দলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, তা নির্বাচনের আগে মিটে যাবে।”

তবে মুখে তৃণমূল নেতারা যে কথাই বলুন না কেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে এইরকম ঘটনার মধ্য দিয়ে তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। এবার অধিকারী গড়েও যেভাবে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল, তাতে আগামীদিন যে তৃণমূলের পক্ষে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না মেটালে খুব একটা সুখকর হবে না, সেই বিষয়টি উপলব্ধি করছেন স্বয়ং তৃণমূল নেতারাও। সব মিলিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!