স্বয়ং সিআইডি কর্তাকে ভুয়ো মেসেজ পাঠিয়ে রাজ্যে ‘মোমো আতঙ্ক’ তৈরির প্রচেষ্টা কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য August 29, 2018 এবার মোমো আতঙ্কের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হল স্বয়ং গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্তাকে। এদিন সকালেই মোমো চ্যালেঞ্জ গেম খেলার আমন্ত্রণ জানিয়ে হোয়াটস অ্যাপে একটি অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ আসে এক সিআইডি কর্তার কাছে। প্রথমে হকচকিয়ে যান ওই সংশ্লিষ্ট কর্তা – তারপর তদন্ত করে জানেন নম্বরটি একজন বিদেশির। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হল, খেলার জন্য যে লিঙ্কটি দরকার সেটাই উল্লেখ ছিল না ওই মেসেজে। এরপর ওই দুঁদে গোয়েন্দা এই মুহূর্তে ধরে ফেলেন আসল রহস্যটি। আসলে এটা পুরোপুরিই একটি ভুয়ো মেসেজ। এর সঙ্গে কোনো যোগই নেই মোমো গেমের। যদি সত্যিই গেম খেলার আহ্বান জানাতো কেউ, তাহলে মেসেজে গেম খেলার লিঙ্কটি থাকতো। আসলে কেউ মারণ গেমটির নাম ব্যবহার করে এ রাজ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এমনটাই জানালেন তিনি। এ তো গেল শুধু সিআইডি কর্তার কথা। এমন ভুয়ো মেসেজ রাজ্যের অনেকের কাছেই আসছে। কেউ কেউ ভয় পেয়ে যাচ্ছেন, কেউ বা থানায় ছুটছেন অভিযোগ জানাতে। সম্প্রতি এই গেমের আতঙ্কে কার্শিয়াং-এ একজন আত্মঘাতী হয়েছেন বলেও খবর রয়েছে। এ নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে। বর্তমানে এরকম ছটি কেসের তদন্ত চলেছে সিআইডিদের তত্ত্বাবধানে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সিআইডি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মোমো গেমের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনো একটি ভার্চুয়াল নম্বর থেকে মোমো গেমের নাম করে ভুয়ো মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সিআইডি’র ডিআইজি (অপারেশন) নিশাত পারভেজ দাবী করেছেন, এ রাজ্যে এখনো অব্দি কোনো মোমো গেমের চ্যালেঞ্জ ছড়ায় নি। যাদের কাছে মোমো গেম খেলা সংক্রান্ত মেসেজ গিয়েছে, সেই মেসেজে কোনো খেলার কোনও লিঙ্কই নেই। পাভেজ সাহেবের আরও দাবি, কেউ বদমায়েশি করেই মোমো গেমের নাম করে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সে কারণে এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্কুল – কলেজে গিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। যাতে ছাত্রছাত্রীরা এর শিকার না হয়। এই ধরনের কোনো খবর সামনে এলেই তা অবিলম্বে নিকটস্থ থানা অথবা সিআইডিকে জানানো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ‘মোমো-আতঙ্ক’ নিয়ে রীতিমত জেরবার রাজ্য-প্রশাসন, তাই সচেতনতার মাধ্যমে এই আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -