এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > হুমকি দিয়ে প্রভাবশালী নেতাকে সরালেন পদ থেকে! বিজেপি সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে তুলকালাম দলে

হুমকি দিয়ে প্রভাবশালী নেতাকে সরালেন পদ থেকে! বিজেপি সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে তুলকালাম দলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির টার্গেট, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে। কিন্তু তার আগে যেভাবে পদ বন্টন নিয়ে বিজেপিতে পুরনো বনাম নতুন নেতাকর্মীদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়েছে, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এবার মন্ডল সভাপতি বদলকে কেন্দ্র করে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। সূত্রের খবর, রবিবার ইদপুরে বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা এই মন্ডল সভাপতি বদলকে কেন্দ্র করে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যার জেরে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার তালড্যাংরার এক কর্মীসভা থেকে বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বেশকিছু মন্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা করেন। যেখানে ছাতনা 3 মন্ডলের সভাপতির সিদ্ধেশ্বর কুন্ডুকে সরিয়ে পরমেশ্বর মন্ডল এবং ইদপুর 1 মন্ডলের সভাপতির বিবেকানন্দকে শাহানাকে সরিয়ে তারকনাথ গোস্বামীকে সভাপতি করা হয়। আর এতেই ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে কর্মীদের মধ্যে। তবে ছাতনা তিন নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পদে রদবদল করা হলেও, কর্মীদের মধ্যে তেমন কোনো অসন্তোষ চোখে পড়েনি। তবে ইদপুরে সভাপতি পরিবর্তিত হতেই রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীরা।

জানা গেছে, ইদপুরের মন্ডল সভাপতি বদলের প্রতিবাদে এদিন বাংলা জয়েন্ট মোড়ে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যেখানে জেলা সভাপতি বিবেকানন্দের পাত্রের অপসারণের দাবিতে আওয়াজ তুলতে দেখা যায় তাদের। বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা অভিযুক্ত হতে শুরু করেন, জেলা সভাপতি নিজের পছন্দের লোককে বসিয়ে গোষ্ঠীবাজি শুরু করেছেন। প্রকৃত কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বভাবতই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন বিজেপি নিজেদের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছে, তখন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের এই অভিযোগ বিজেপিকে ব্যাপক বিড়ম্বনায় ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে চলে এল। এইভাবে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেভাবে কর্মীরা পথে নামলেন, তাতে তো জেলা সভাপতি অনেকটাই চাপে পড়লেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, “যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। নীতি আদর্শের ভিত্তিতে বিজেপি দল চলে।” তবে এই গোটা বিষয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, “বিজেপির নেতা কর্মীরা উৎশৃংখল। এটা মানুষ জেনে গিয়েছেন।” তবে এই বিষয়ে তৃণমূলের ভাবার দরকার নেই বলে পাল্টা ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।

সব মিলিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলকে কেন্দ্র করে যেভাবে কর্মী সমর্থকরা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে, তাতে গেরুয়া শিবির এখন প্রবল চাপে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সমস্যার সমাধান করতে বিজেপির পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!