বেতন কমিশনের বকেয়া আদায়ে সরকারের ঘুম ওড়াতে মাঠে নামলো সরকারি কর্মীরা জাতীয় August 7, 2018 মহারাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারীদের তিনদিনের ডাকা ধর্মঘটের জেরে চাপে পড়তে চলেছে রাজ্যসরকার। মঙ্গলবার থেকে শুরু করা হল তাঁদের ধর্মঘট। প্রায় ১৭ লক্ষ কর্মী এই তিন দিন ব্যাপী ধর্মঘটে সামিল হয়েছে। সপ্তম পে কমিশনের পর তাঁদের বকেয়া টাকা এখনো মেটায়নি সরকার। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কর্মচারীদের দাবী গুলো হল পাঁচদিন কাজ করবেন তাঁরা। দিতে হবে দুদিন ছুটি। এছাড়া অবসরের বয়সসীমা ৫৮ থেকে বাড়িয়ে ৬০ বছর অব্দি করারও দাবী জানানো হয়েছে। কর্মচারীদের শেষের দাবীটি সরকার মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ বছর দীপাবলির আগেই সেটি কার্যকর হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে সরকারি সূত্রের খবর থেকে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। তবে জানা গেছে, অসন্তুষ্ট সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ১.৫ লক্ষ গেজেটেড অফিসার আগে থেকেই নিজেদের ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলে। বিক্ষোভ করার আগের দিন রাতেই তাদের কাছে খবর পৌছায় যে সরকারের তরফ থেকে তাদের বকেয়া এরিয়ার ওই ডিএ (ডিয়ারনেস অ্যালাউয়েন্স) মিটিয়ে দেওয়া হবে। এবং আগামী ১৪ মাসের মধ্যেই তাঁদের এই বকেয়া মিটেয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে দেয় জি আর (গর্ভমেন্ট রেজলিউশন)। আগস্ট মাসের বেতনের সঙ্গে এরিয়ার মিটিয়ে দেওয়া কথা শুনে ধর্মঘট তুলে নেন তারা। তবে এখানেই শেষ নয় । সপ্তম পে কমিশনের আরো একটি জিআর সমস্যা রয়েছে। সেটা কার্যকর করার কথা ২০১৯ এর জানুয়ারীতে। এক্ষেত্রে যদি সপ্তম পে কমিশনের কাজগুলো করতে দেরি হয় তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মজুরি কাঠামো অনুযায়ীই তারা সব সুযোগ সুবিধাগুলো পাবে। সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারী সংস্থার সভাপতি নীতীন সরদেশমুখ জানালেন,জেলা পরিষদ,সরকারি হাসপাতাল মন্ত্রালয়ে কাজ করা তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরাই মূলত এই ধর্মঘট করছে। এছাড়া তিনি আরো জানান, ষষ্ঠ পে কমিশনে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো,সে অনুযায়ী কাজ করা হয়নি। কর্মীরা তাদের ন্যায্য এরিয়ান পায়নি। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১. ৮৫ লক্ষ শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। এসবের জেরেই তীব্র অসন্তোষে রয়েছে সরকারি কর্মীরা। এবার তাদের ধর্মঘটের জেরে মহারাষ্ট্র সরকার কী ব্যবস্থা নেয়,সেটাই দেখার! আপনার মতামত জানান -