এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ব্যয়সঙ্কোচের জন্য রাজ্যের বড় বিশ্ববিদ্যালয় ১০% ‘অস্থায়ী’ শিক্ষাকর্মী ছাঁটাইয়ের পথে

ব্যয়সঙ্কোচের জন্য রাজ্যের বড় বিশ্ববিদ্যালয় ১০% ‘অস্থায়ী’ শিক্ষাকর্মী ছাঁটাইয়ের পথে

এবার ব্যয়সঙ্কোচে পদক্ষেপ নিতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য বিভাগের কোর্স নিয়ে ঠিক কি পদক্ষেপ গ্রহন করা যায় তার জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছিল এগজিকিউটিভ কাউন্সিল। জানা গেছে, এই সান্ধ্য কোর্সের জন্য তিন কোটি টাকার মত ঘাটতি রয়েছে। আর বর্তমানে সেই টাকার যোগান নিয়ে বড়ই চিন্তিতি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

তাই এহেন পরিস্থিতিতে খরচ কমানো ছাড়া আর কোনোই উপায় দেখছে না কতৃপক্ষ। যার ফলশ্রুতি হিসাবে প্রথম ধাপে 50 থেকে 60 জন কর্মীকে বাদও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এই বিভাগের কর্মীদের বেতনের দু থেকে পাঁচ হাজার টাকা বাদ গেলে বছরে 15 লক্ষ টাকা সাশ্রয় করতে পাবে কতৃপক্ষ।  এছাড়াও সান্ধ্য বিভাগের বেশ কটি ল্যাবরেটরি দু মাস চললেও সেখানে কর্মীরা সারাবছরেরই ভাতা পান। তাই এই দিকটাও নিয়ন্ত্রনে আনতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

যদিও বা এই পুরো বিষয়টিতে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা ব্যাক্তিরা। তবে শুধু কর্মীদের বাদ দেওয়া বা তাদের বেতন কাটাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য বিভাগে ক্লাসেও বদল আনার চিন্তাভাবনা করতে চলেছে কতৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এই কোর্সে 45 মিনিট করে যে চারটি ক্লাস হয়, তা এক ঘন্টা করে তিনটি করা হলে 25% টাকা সাশ্রয় হবে বলে মনে করছে কতৃপক্ষ।

তবে এতসবের পরও যদি টাকা সাশ্রয় না হয় তবে সরকারের কাছে টাকা চাওয়া ছাড়া আর কোনোই উপায় দেখছে না বিশ্ববিদ্যিলয় কতৃপক্ষ। সব মিলিয়ে টাকার ঘাটতি কমাতে ও সান্ধ্য কোর্সের খরচ চালাতে 10% শিক্ষাকর্মী ছাটাই করে ব্যয়সঙ্কোচের সিদ্ধান্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গেছে, সান্ধ্য কোর্সের ক্লাসগুলির সময় বাড়িয়ে, পিরিয়ড কমিয়ে এবং অপ্রয়োজনীয় খরচে রাশ টানতে আগামী সেমিষ্টার থেকেই গ্রহন করা হবে একাধিক পদক্ষেপ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!