এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আর্থিক সঙ্কটের রাজ্যে বিমানবন্দর থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য দুই পৃথক হেলিপ্যাড! সরব বিজেপি

আর্থিক সঙ্কটের রাজ্যে বিমানবন্দর থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য দুই পৃথক হেলিপ্যাড! সরব বিজেপি


 

এবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাটি ঘিরেও তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা লক্ষ্য করা গেল। বস্তুত, আগামীকাল কোচবিহার জেলায় আসার কথা রয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি রাসমেলা পরিদর্শনেরও কথা রয়েছে তার‌। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন এবং তৃণমূলের অন্দরে প্রবল তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

আর মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে যখন সব মহলে উদ্দীপনা চওড়া হচ্ছে, ঠিক তখনই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য দু’টি পৃথক হেলিপ্যাড বসানোয় ব্যাপক সরব হল গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাগডোগরা থেকে কোচবিহারে হেলিকপ্টার করে আসার কথা।

আর সেই কারণেই রাজবাড়ি স্টেডিয়াম এবং কোচবিহার পুলিশ লাইনের মাঠে দুটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু কোচবিহারে একটি বিমানবন্দর থাকা সত্ত্বেও কেন এইভাবে দুটি হেলিপ্যাড কতটি করা হচ্ছে! তা নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সরকারি টাকার অপচয় করার অভিযোগ তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি মালতী রাভা রায় বলেন, “একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সরকারের কোষাগার ফাঁকা। অন্যদিকে বিনা কারণে তার সফরকে ঘিরে সরকারি টাকার দেদার অপচয় করা হচ্ছে।” সত্যিই তো তাই। যেখানে কোচবিহারে একটি বিমানবন্দর ছিল, সেখানে কেন দুটি আলাদা হেলিপ্যাড তৈরি করতে হল! এতে কি সরকারের কোষাগারে ধাক্কা লাগল না! এই প্রসঙ্গে অন্য যুক্তি খাড়া করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিন এই ব্যাপারে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী 18 নভেম্বর কোচবিহারে আসবেন। সেখানেই তিনি রাত কাটাবেন। পরের দিন ফিরে যাবেন। রাজবাড়ি স্টেডিয়াম ও পুলিশ লাইনের মাঠে দুটি হেলিপ্যাড করা হচ্ছে। বিজেপি এটা নিয়ে জলঘোলা করছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে ওরা প্রচুর টাকা খরচ করেছিল। আমরা তখন তো কোনো প্রশ্ন তুলিনি। ওরা সংকীর্ণ মানসিকতার। তাই সবকিছু নিয়েই রাজনীতি করে।”

কিন্তু বিজেপির তরফে তোলা অভিযোগকে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে এইভাবে কেন বিঁধলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি! তাহলে কি তাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনো যুক্তি নেই! আর তাই বিজেপির করা কাজকে কোট করে জবাব দিতে হলো তাকে! একাংশ বলছেন, তৃনমূল সভাপতি যদি সেই যুক্তিই খাড়া করেন, তাহলে তাদের আর বিজেপির মধ্যে পার্থক্যটা থাকলো কি! যেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রায় কোষাগারের শূন্য দশা বলে দাবি করেন, সেখানে সেই মুখ্যমন্ত্রী আসবার জন্য ঢালাও করে দুটি হেলিপ্যাড আদৌ প্রয়োজন ছিল কি! এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে কোচবিহারবাসীর মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!