মনীশ শুক্ল খুন হতেই কি রাজনৈতিক ভাবে ব্যাকফুটে চলে গেল বিজেপি? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা! নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আর তার মাঝেই হঠাৎ করে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হলেন টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মনীশ শুক্ল। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় বর্তমানে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে মনীশ শুক্ল খুন হওয়ার পর বিজেপি অনেকটাই বেকায়দায় পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা ব্যারাকপুর বিধানসভার যে অংশটি দেখভাল করতেন মনীশ শুক্ল, তা এবার কার হাতে দেওয়া হবে এবং তিনি কতটা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারবেন, তা নিয়ে জোরালো প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। একাংশ বলছেন, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহকে ব্যারাকপুর এবং নোয়াপাড়া বিধানসভার সাংগঠনিক দিক নিয়ে কখনই চিন্তা ভাবনা করতে হয়নি। সেখানে মনীশ শুক্লকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি নিজের মতো করে এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। কিন্তু এবার সেই নেতা খুন হওয়ায় এই এলাকার সাংগঠনিক দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। অনেকে বলছেন, ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার রয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি বিধানসভা এলাকা অত্যন্ত উত্তেজনা প্রবণ। ফলে এখানে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে দাপুটে কোনো নেতাকে দায়িত্ব না দিলে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই মনীশ শুক্ল সেদিক থেকে অনেকটাই সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য তৎপর ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হওয়ায় এই এলাকা বিজেপির পক্ষ থেকে কারা সামাল দেবে, তা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বর্তমানে বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা খুনের ঘটনায় তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতের সংগঠনকে পরিচালনা করার জন্য যদি ঠিকমত নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে বিধানসভা ভোটে সাফল্য পাওয়ার জন্য অনেকটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বর্তমানে এই এলাকাগুলোর দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। ইতিমধ্যেই মনীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী দিতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “মনীশ শুক্ল খুন হওয়ায় আমাদের সংগঠনের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু আমরা এই সুযোগ কাউকে দেব না।” যদিও বা অর্জুন সিংহের মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কোনো শান্তিপ্রিয় মানুষ গুন্ডামি বরদাস্ত করেন না। বিজেপিকে মানুষ সহ্য করতে পারছেন না। তবে সংগঠন আমাদের শক্তিশালী রয়েছে। যেগুলো রটানো হচ্ছে, সেগুলো মিথ্যা।” সব মিলিয়ে এবার গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মনীশ শুক্ল খুন হওয়ার পর এলাকার সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বিজেপির পক্ষ থেক সাংগঠনিক দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -