এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ফ্রন্টফুটে দিলীপ! পর্দার আড়ালে কৈলাশ-মুকুল! বিধানসভায় তৃণমূল বিসর্জনে বড় প্ল্যান বিজেপির?

ফ্রন্টফুটে দিলীপ! পর্দার আড়ালে কৈলাশ-মুকুল! বিধানসভায় তৃণমূল বিসর্জনে বড় প্ল্যান বিজেপির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ কে হবে, সেই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। বঙ্গ বিজেপিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তেমন মুখ নেই বলেও দাবি করে একাংশ। আর এহেন পরিস্থিতিতে টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মনীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় আন্দোলনের পুরোভাগে থাকতে দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে।

স্বাভাবিকভাবেই বাংলার বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় বাংলার কোনো নেতা নেতৃত্ব না দিয়ে কেন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তথা দিল্লীর নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি বঙ্গ বিজেপিতে গ্রহণযোগ্য মুখ নেই? আর তাই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মত নেতাকে এখানে নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে? একাংশের মতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সভাপতি।

তিনি কেন এই বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় আন্দোলনের সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না? কেন সেখানে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে? সূত্রের খবর, সোমবার সকালে মৃত বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লের বাড়িতে যান কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায়, অর্জুন সিংহ, সৌমিত্র খাঁ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। পরবর্তীতে এই বিজেপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে নীলরতন সরকারি হাসপাতাল থেকে রাজভবন পর্যন্ত যে আন্দোলন চলছিল, সেখানেও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে।

আর এখানেই প্রশ্ন, কেন দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে দেখা গেল না? তাহলে কি এটা নেতৃত্ব দেওয়ার অভাব! নাকি দলের এক গোষ্ঠীর সঙ্গে দিলীপবাবুর মতানৈক্য রয়েছে, তাই তিনি এবং তার অনুগামীরা এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেন না? একাংশ বলছেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সেদিক থেকে মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্ব রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই কর্মসূচিতে তারা গেলেও, সেখানে না গিয়ে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি নেতারা বলে দাবি একাংশের। কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে কিভাবে বিজেপি ঐক্যবদ্ধ রূপ নিয়ে ক্ষমতায় আসবে? তবে অপর অংশ অবশ্য বলছেন, বঙ্গ বিজেপিতে এমন কোনো নেতা নেই, যারা এই আন্দোলনের পুরভাগে থেকে নেতৃত্ব দেবেন। তাই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ময়দানে নামতে হল। যদিও বা এই কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষের অনুপস্থিতি নিয়ে অন্য যুক্তি শোনা যাচ্ছে। জানা গেছে, সোমবার সারা দিন ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন দিলীপ ঘোষ এবং তার অনুগামীরা।

তাই এই কর্মসূচিতে তারা উপস্থিত থাকতে পারলেন না। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, এক বিজেপি নেতা গুলিবিদ্ধ হলেন, অথচ তার থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে সেই কর্মসূচিতে থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে? কেন তিনি দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে কর্মসূচিতে থাকলেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি কাকদ্বীপে দলীয় কর্মসূচিতে রয়েছি। আমাদের বড় নেতারা ওই আন্দোলন দেখছেন।”

তবে মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতির যে কথাই বলুন না কেন, তিনি যেহেতু রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছেন, তাই তার এই কর্মসূচিতে থাকা প্রয়োজন ছিল বলেই মনে করছেন সকলে। সব মিলিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় পুরোভাগে নেতৃত্ব দেওয়ায় বঙ্গ বিজেপির গ্রহণযোগ্য নেতা নেই বলে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। তবে গেরুয়া শিবিরের একটা বড় অংশের দাবি – লোকসভা নির্বাচনে ফ্রন্টফুটে খেলেছিলেন দিলীপ ঘোষ! আর পর্দার আড়ালে পুরো গেমপ্ল্যানটা সেট করেছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-মুকুল রায়।

আর তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত চোখে সর্ষেফুল দেখতে শুরু করেছিল! ফলে, লোকসভা নির্বাচনে যে চেনা ফর্মুলা সাফল্য এনে দিয়েছে – সেই ফর্মুলাতেই নাকি তৃণমূলের ‘বিধানসভায় বিসর্জনের’ বাজনা বাজানো শুরু করে দিলেন হাই-প্রোফাইল এই ত্রয়ী! এখন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দেখতে চাইছেন – লোকসভার ফর্মুলাতে বিধানসভাতেও বাজিমাত করতে পারে কিনা গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!