শিলংয়ের সিবিআই দপ্তরে যখন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করতে ব্যাস্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা, ঠিক তখনই সেই শিলংয়ে “মাংকি ক্যাপ” পরা এক ব্যক্তির দর্শন আশ্চর্য করেছিল সবাইকে। কে এই মাংকি ক্যাপ পরা ব্যক্তি? তা নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে তীব্র জল্পনা চলছে, ঠিক তখনই অবশেষে পরিষ্কার হল সেই সমস্ত রহস্য।

সিবিআই সূত্রের খবর, মাঙ্কি টুপি পরা ওই ব্যক্তির নাম শিব নারায়ণ দাস। কিন্তু কে এই শিব নারায়ণ দাস? জানা গেছে, সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের গুরু হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রথমে সারদা-কর্তার গাড়ির চালকের মাধ্যমেই শিবনারায়ন দাসের সঙ্গে পরিচয় হয় সুদীপ্ত সেনের।

প্রথমে সুদীপ্ত সেনকে পঞ্জি স্কিম নিয়ে বোঝান এই শিবনারায়ন দাস। আর এরপরই চিটফান্ড ব্যবসায় মাঠে নামেন সুদীপ্ত সেন। এমনকি এই শিবনারায়ন দাসের চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেও মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। আর তাই এবার মূল শিকড়ে পৌঁছতে গেলে সুদীপ্ত সেনের গুরু শিব নারায়ন দাসকে জেরা করতে চাইছে সিবিআই।

আর তাইতো এদিন যখন শিলংয়ের একটি ঘরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করতে ব্যস্ত সিবিআই কর্তারা, ঠিক তখনই হঠাৎই শিলংয়ের সিবিআই দপ্তরে প্রবেশ করতে দেখা যায় মাঙ্কি টুপি পরা এক ব্যক্তিকে। সূত্রের খবর, এই শিবনারায়ন দাসের কাছ থেকে সমস্ত তথ্য জানতে তাঁকে জেরা করছেন সিবিআই কর্তারা।

আর এই জেরার পরেই সেই বিষয়গুলো নিয়ে ফের কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করেছে সিবিআই বলে জানা গেছে। এদিকে আজও ফের রাজীব কুমারকে শিলংয়ের সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত জেরা পর্বে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে কোনরূপ মনোমালিন্য হতে দেখা যায়নি সিবিআই কর্তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত জেরা পর্ব শেষে ঠিক কি হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।