এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মন্ত্রী হলেও রেয়াত নয় সাংসদদের, বড় হুঁশিয়ারি দিলীপের! জেনে নিন

মন্ত্রী হলেও রেয়াত নয় সাংসদদের, বড় হুঁশিয়ারি দিলীপের! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন বাংলার চার বিজেপি সাংসদ। যার মধ্যে অন্যতম উত্তরবঙ্গের সাংসদ জন বারলা। কিছুদিন আগেই তিনি উত্তরবঙ্গ ভাগের পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। এমনকি এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। আর তার এই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হলেও, তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার সাথে সাথেই তা উত্তরবঙ্গ ভাগ করার একটা চক্রান্ত বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তৃণমূলের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়ে যদি রাজ্যভাগের পক্ষে কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি তোলেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন উত্তরবঙ্গ ভাগের পক্ষে মতামত দেওয়ার জন্য জন বারলাকে কেন মন্ত্রী করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে, তখন বিজেপি যে রাজ্যে ভাগের পক্ষে নয় এবং তার দলের কোনো সংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে যদি সেই রাজ্যে ভাগের কথা বলে, তাহলে গেরুয়া শিবির যে তাদের কোনোভাবেই রেয়াত করবে না তা নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপবাবুর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ ভাগের বিরুদ্ধে। এটা দলের অবস্থান। যদি কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়ে জন বারলা বা অন্য কেউ এমন কিছু বলেন, তবে আমাদের দলের উপরতলায় তা জানাতে হবে‌। দল এবং সরকার দুদিকেই বলব। উত্তরবঙ্গের দাবি-দাওয়া নিয়ে বার্লা সরব হতেই পারেন। সেটা বিজেপি, সাংসদ বিধায়কদের পক্ষে স্বাভাবিক।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যে ভাগের পক্ষে মতামত দিয়ে প্রথম শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। তারপর জঙ্গলমহলের জেলাগুলোকে নিয়ে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছিলেন আর এক বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই চাপ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টির। আর তারপরেই এটা সাংসদদের ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ ভাগের পক্ষে মতামত দেওয়া জন বারলা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। যার জেরে ইতিমধ্যেই বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, উত্তরবঙ্গকে ভাগ করতে বিজেপি একধাপ এগোনোর পরিকল্পনা করছে। আর সেই কারণেই জণ বারলাকে মন্ত্রী করা হল। এর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবাদে নামবে। তবে তৃণমূলের সোচ্চার হওয়ার সেই বিষয়টিকে কেড়ে নিয়ে নিজেদের পার্টির অবস্থানের কথা তুলে ধরে রাজ্য ভাগের পক্ষে কেউ মতামত দিলে তার বিরুদ্ধে যে তারা দলের ওপরতলায় অভিযোগ জানাবেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন দিলীপবাবু।

একাংশ বলছেন, দিলীপবাবু এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন। একদিকে তিনি যেমন দলীয় সাংসদ অর্থাৎ যারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন, তাদের রাজ্যেভাগের বক্তব্যকে নিয়ে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিলেন, ঠিক তেমনই তৃণমূলের সোচ্চার হওয়ার বিষয়টিতে ইতি টানার চেষ্টা করলেন। কেননা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর যদি জন বারলা বা অন্যান্য সাংসদরা আবার রাজ্যভাগের পক্ষে বিবৃতি দেন, তাহলে গেরুয়া শিবির অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে যাবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি রাজ্যভাগের চক্রান্ত করছে বলে আন্দোলনে নামা হবে। যা গেরুয়া শিবিরের পক্ষে খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে মত পোষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!