এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর শুভেন্দুর প্রথম সভা! রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা হল আরও সুতীব্র

মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর শুভেন্দুর প্রথম সভা! রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা হল আরও সুতীব্র


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আর তারপর থেকেই তার দল বদলের জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। তবে তাকে নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরি হলেও, মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রবিবার প্রথম প্রকাশ্যে এসে সভায় উপস্থিত হলেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, এদিন মহিষাদল রাজবাড়ির ছোলাবাড়ির মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। যেখানে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রনজিৎ বয়ালের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে। যার সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী।

আর সেখানেই রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য না বললেও, কিছুটা তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দেন, রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠন করেছিল এই মেদিনীপুর। আর তার এই বার্তাকে কেন্দ্র করে এখন নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, মেদিনীপুর থেকে রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে আবার নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগী তিনি?

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এই ব্যাপারে জল্পনা তৈরি হলেও, শুভেন্দু অধিকারী পোশাকে অবশ্য দলীয় আনুগত্যের চেহারা পাওয়া গেছে। যেখানে সাদা পাঞ্জাবি পায়জামার উপর নীল জ্যাকেট পড়তে দেখা দিয়েছে তাকে। শুধু তাই নয়, নীল সাদা কাপড়েই তৈরি হয়েছিল মঞ্চ। স্বভাবতই তৃনমূলের সব অনুষ্ঠানে নীল-সাদা রং থাকে। তাই শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ ছাড়লেও, তার এদিনের পোশাক এবং সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চের রং তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার পরিচয় বহন করছে বলেই দাবি একাংশের। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারী তেমনভাবে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেননি, এটা ঠিক।

কিন্তু বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “সংবিধানে গণতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। সেখানে শেষ কথা জনগণই বলে। তাই তাদের সামনে রেখে আগামী দিনে আমার দায়বদ্ধতা, অঙ্গীকার পালন করব।” আর এখানেই প্রশ্ন, তার পরবর্তী দায়িত্ব কি? পরবর্তী অঙ্গীকার বলতে তিনি কি বোঝাতে চাইলেন? ইতিমধ্যেই তিনি মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। প্রতিটা জায়গায় তার নামের পাশে লেখা হচ্ছে জনগণের সেবক। কিন্তু এখনও তিনি বিধায়ক রয়েছেন। সেক্ষেত্রে কি তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে নতুন কোনো প্ল্যাটফর্ম বেছে নেবেন, নাকি তৃণমূল কংগ্রেসে থেকেই জনতার সেবা করবেন! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ ছাড়ার আগে যখন তাকে নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছিল, তখন রামনগরের সভা থেকে তিনি বিশেষ কোনো বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে দলের প্রতি আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই তিনি মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। আর রবিবারের সভায় মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি বড় কোনো বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করেছিল একাংশ।

কিন্তু সেরকম কোনো বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতাকে। উল্টে জনতাই শেষ কথা বলে গণতন্ত্রকে সম্মান জানানোর বার্তা দিতে দেখা গেল নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ককে। তবে তার এই বার্তার মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যতের জল্পনা আরও তীব্র হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!