উপনির্বাচনে জয়ের পর ক্রমশ ভিড় বাড়ছে তৃণমূলের সম্মেলনে! পাল্লা দিয়ে হাসি চওড়া হচ্ছে শাসকদলের বর্ধমান December 8, 2019 2019 এ বঙ্গ বিজয় ছিল বিজেপির কাছে মূল স্বপ্ন। বিজেপি কিছুটা হলেও সেই স্বপ্নে সফলতা পেয়েছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের 6 মাস পেরোতে না পেরোতেই রাজ্যে ফিকে হয়ে গিয়েছে বিজেপি হাওয়া। কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর এবং খড়্গপুরের সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। পরাজিত হয়েছে গেরুয়া শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হওয়ার পরই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনটি কেন্দ্রে বিজেপি পরাজিত হওয়ার পর বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের সভাগুলোতে ভিড় চোখে পড়ার মত। বস্তুত, গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার মহিলা শাখার সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে এখানে বিজেপি হাওয়াকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মহিলা তৃণমূলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি, জেলা সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি, জেলা পরিষদ সদস্য এবং বিভিন্ন ব্লকের নেতৃত্বরা। উপস্থিত থাকতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককেও। আর সেই সভা থেকেই এনআরসি সহ হায়দ্রাবাদের ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন চন্দ্রিমাদেবী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করে বলেন, “যেভাবে বিল আনা হয়েছে তার ধিক্কার জানাই। আমরা মেনে নেব না।” আর এরপরই হায়দ্রাবাদের ঘটনার কথা উল্লেখ করে মালদার ঘটনা নিয়ে সংসদে সোচ্চার হওয়া বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের এই মহিলা নেত্রী। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “মালদহে কেউ ধর্ষণ হয়েছে, এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।” রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী আরও বলেন, “কিন্তু উনি যেভাবে বাংলার ধর্ষকদের রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কথা বলছেন, তার কি কোনো নির্দিষ্ট তথ্য আছে! আমি এটা কোনোমতেই মানছি না। তিনি কি এটা দিয়ে উন্নাওয়ের ঘটনাকে জাস্টিফাই করতে চাইছেন! যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল, তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।” এদিকে রাজ্য তৃণমূলের মহিলা শাখার সভানেত্রীর বক্তব্যে এদিনের সভায় মুহুর্মুহু হাততালি পড়তে দেখা যায়। এনআরসি থেকে শুরু করে হায়দ্রাবাদের ঘটনার বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখার সময় করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা সভাস্থল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপনির্বাচনের পর বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের ভালোর দিকে যেতে শুরু করেছে লোকসভায় তারা যে সমস্ত জায়গায় হেরে গিয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিম বর্ধমান জেলা। এদিন সেই জেলাতে মহিলাদের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে উপস্থিত সকলকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে ২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচনে এখানে বাবুল সুপ্রিয় হেভিওয়েট তৃণমূল নেত্রী দোলা সেনকে হারিয়ে দেন। তখন সবাই বলেছিল – সেটা ছিল ফ্লুক! কেননা ২০১৬-তেই এখানে আবার ঘুরে দাঁড়ায় তৃণমূল। কিন্তু ২০১৯-এ এসে বাবুল সুপ্রিয় এখানে ব্যবধান বাড়িয়ে করে নেন প্রায় ২ লক্ষ! ফলে, মনে করা হচ্ছে আগামী বিধানসভার এখানে গেরুয়া ঝড় অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সেই বিজেপির গড়েও যেভাবে তৃণমূলের সভায় লোক বাড়ছে, তাতে ক্রমশ হাসি চওড়া হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। আপনার মতামত জানান -