এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মাদার-যুবর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কলকাতার অদূরেই আক্রান্ত আদিবাসী পরিবার; কড়া পদক্ষেপের পক্ষে শাসক দল

মাদার-যুবর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কলকাতার অদূরেই আক্রান্ত আদিবাসী পরিবার; কড়া পদক্ষেপের পক্ষে শাসক দল

উৎসবপ্রিয় বাঙালির রাজ্যে উৎসবমুখর পরিবেশকে অটুট রাখতে যখন সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক তখনই সেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর বিভাজনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এই বাংলা। কোর কমিটির মিটিং থেকে দলীয় জনসভা সর্বত্রই তৃণমূল এবং তৃণমূল যুব যে একটি সংগঠন তা বারেবারে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু তারপরও কাজের কাজ তো কিছু হয়ইনি বরঞ্চ এই দুই সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি সেই তৃণমূল যুব সংগঠনের আঘাত নেমে এসেছে ফুল মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসাতলা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীর ওপরে। আর যে ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য; রাজ্যে পালাবদলের পর এ অঞ্চলের বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর সেখানকার নদীর চরের আড়াই কাঠা জমি তাঁরই অনুগত ভূমিহীন রঞ্জন সর্দার এবং তার পরিবারকে দান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেখানে সিপিএম থেকে দল বদল করে আসা তৃণমূল যুব শাখায় যোগদান করা লোকেরাই সেই তৃণমূল কর্মী রঞ্জন সরদারের ওপর প্রবল অত্যাচার করেন। এমনকি তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের সাথে থাকা যাবে না বলেও প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে পড়তে হয় সেই রঞ্জন সরদারের পরিবারকে অভিযোগ এমনটাই।

জানা যায়; গত শনিবার তৃণমূল কর্মী রঞ্জন সরদারের বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়। এমনকি ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র বের করে সামনের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। আর এই গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে সেই তৃণমূলেরই যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে। এদিকে এইভাবে দলের মূল সংগঠনের তথা আদিবাসী সমাজের পরিচিত রঞ্জন সরদারের ওপর হামলার ঘটনায় ঘনিষ্ঠ মহলে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এই ব্যাপারে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন যে সিপিএম থেকে আসা তৃণমূল যুব তে যোগ দেওয়া নব্য কর্মীরাই তৃণমূলের পুরোনো কর্মী এই রঞ্জন সরদারের ওপর হামলা চালিয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

সূত্রের খবর গত শনিবার এ বাসন্তীর ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের একাধিক নিচুতলার কর্মী আর সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাছে জানতে চান ওখানে গোলমালটা কি নিয়ে? পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন; “ওখানে তো শওকত ও জয়ন্ত নস্কর কেউ যাচ্ছে না। তাহলে কারা এটা করছে?” আর এর উত্তরে দলীয় কর্মীরা দলনেত্রীর কাছে জানান যে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কর্মীরাই প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। আর এরপরই এই ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অন্যদিকে ফুল মালঞ্চ তে যুব সংগঠনের লোকের হাতেই যে প্রতিনিয়ত হেনস্তার শিকার হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন এই অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা জাকির শেখ।

কিন্তু আর কতদিন এই হেনস্থার শিকার হতে হবে তৃণমূল কর্মীদের? আর তাইতো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর পর গতকাল বাসন্তী থেকে একটি দল জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীর কাছে গিয়েও এই ঘটনা নিয়ে একটি অভিযোগ জানান। কিন্তু আদৌ কি এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস? এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন; “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের বিষয়টির সাথে যারা জড়িত তাদের কোন ভাবেই রেয়াত করবে না দল।” সব মিলিয়ে ফুল মালঞ্চ তে তৃণমূল কর্মীর ওপর তৃণমূল যুব কর্মীদের আঘাতের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!