এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মাদার-যুবর মান-অভিমান-দ্বন্দ্ব ভুলিয়ে বিজেপিকে হারাতে বড়সড় প্রচেষ্টা শুরু হেভিওয়েট মন্ত্রীর

মাদার-যুবর মান-অভিমান-দ্বন্দ্ব ভুলিয়ে বিজেপিকে হারাতে বড়সড় প্রচেষ্টা শুরু হেভিওয়েট মন্ত্রীর

প্রায়শই তৃণমূলের যুব সংগঠনের সাথে মাদার সংগঠনের লড়াইয়ে সারা রাজ্যের মধ্যে রণক্ষেত্র আকার ধারণ করতে দেখা গিয়েছিল কোচবিহারের দিনহাটাকে। এমনকি যুব বনাম মাদারের এই গন্ডগোল দমাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বারে বারে কোচবিহারের তৃনমূল নেতাদের সতর্ক করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

কিন্তু এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজার সাথে সাথেই এবং সেই কোচবিহারে লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে পরেশ অধিকারীর নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এবার সেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র পুনরায় দখল করবার জন্য সমস্ত দ্বন্দ্ব ভুলে একযোগে দলকে চলার জন্য বার্তা দিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের নেতারা।

সূত্রের খবর, এদিন প্রথম লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার পর দিনহাটার পেটলায় একটি নির্বাচনী সভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী, কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ সহ অন্যান্যরা।

এদিনের এই সভায় উপস্থিত হয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সমস্ত প্রকার মান-অভিমান ভুলে সবাইকে একসাথে চলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। পাঁচ বছরে বিজেপি কিছুই করেনি। তাই এবারের নির্বাচনে যে বাহিনী দিয়েই ওরা বাহিনী দিয়ে যতই ভোট করাক না কেন, বাংলায় 42 টা আসনেই তৃনমুল জিতবে।” নির্বাচনের আগে যুদ্ধ যুদ্ধ রব তুলে মানুষের মনকে যতই ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন বিজেপি, এবারে বাংলার মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বুথস্তরে বিজেপির কোনো শক্তিশালী সংগঠন নেই বলে জানান তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। অন্যদিকে এই সভাতে উপস্থিত কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী বলেন, “রাজ্যের প্রতিটি আসনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রার্থী। তাই সমস্ত প্রকার মান-অভিমান ভুলে সবাইকে একসাথে চলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে যেমন দিনকে দিন উত্থান বাড়তে শুরু করেছে বিজেপির, ঠিক তেমনই এখানে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূলের। তাই স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাতে দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কোনো রুপ ভোট কাটা না যায় সেজন্য এদিনের নির্বাচনী সভার প্রথমেই সেই ব্যাপারে দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে আহ্বান জানিয়ে পরেশ অধিকারীকে জেতানোর জন্য একযোগে প্রচার শুরু করলো কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!