মাদার কে কি ক্রমশ গ্রাস করছে যুব? তৃণমূল নেত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি ঘিরে জল্পনা চরমে রাজ্য October 27, 2018 বহুদিন আগেই দলের এক কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, “তৃণমূল এবং তৃণমূল যুব একটাই সংগঠন। একই দলের দুটো সংগঠনের মধ্যে কোনরূপ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করবে না দল।” কিন্তু দলনেত্রীর নির্দেশই যে সার তা বারেবারে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বুঝিয়ে দিয়েছে শাসকদলের নেতাকর্মীরাই। যার মধ্যে অন্যতম কোচবিহার জেলা। এখানে মূল সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সাথে জেলারই যুব সংগঠনের সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। আর এই বিবাদকে ঘিরে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। পরবর্তীতে দুই ছাত্রের মৃত্যুতেও কেঁপে উঠেছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলা। আর তৃণমূল এবং যুবর এই লড়াইয়ে যখন ফুটছে জেলা রাজনীতি ঠিক তখনই এই কোচবিহারে পা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এবার হেলায় সেই সুযোগকে নষ্ট না করে শনিবার জেলায় যুব সংগঠনের এই বাড়বাড়ন্তের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি ফ্যাক্স করে অভিযোগ জানাচ্ছে দলের মূল সংগঠন। পাশাপাশি জেলায় পা রাখলে যুব সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দেওয়ারও কথা রয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। এ তিনি প্রসঙ্গে দিনহাটা ২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা সাহেবগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি অতুল চন্দ্র সরকার বলেন, “ক্ষমতা দখলে যেভাবে যুব সংগঠনের তরফ থেকে হামলা আসছে তাতে দলেরই বদনাম হচ্ছে। তাই এই কোন্দল মেটাতে দলনেত্রীকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে একটি ফ্যাক্স করা হবে।” একই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তবে এই ব্যাপারে এদিন তাঁর সুর নরম করেছেন জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। এদিন তিনি বলেন, “উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসছেন। দলে যদি কোন্দল থাকে তা আমরা আলোচনা করে মিটিয়ে নেব।” আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, এতদিন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বারে বারে উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহার। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তাহলে কেন অতীতের সেই গন্ডগোল কে প্রশমন করেননি জেলার নেতারা? তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসে এই ব্যাপারে দলীয় নেতাদের ধমক দেবেন তার ভয়ে আগাম এখন থেকেই নিজেদের জবাব তৈরি করে রাখছেন জেলার যুব এবং তৃণমূল নেতারা? জল্পনা তুঙ্গে। আপনার মতামত জানান -