প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মৌলবাদীদের রোষের মুখে যে কেউ পড়তে পারেন। অন্তত তাই প্রমাণ হলো এদিনের ঘটনায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে টেস্ট ম্যাচ খেলছেন মহম্মদ শামি। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তাঁর ফ্যানেরা যারপরনাই খুশি। অন্যদিকে দিওয়ালির দিন মহম্মদ শামি তাঁর ছোট্ট মেয়ের নাচের একটি ভিডিও শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ব্যাপক শেয়ার হয় এই ভিডিওটি।

যথারীতি মৌলবাদীদের নজর এড়ায় না এটি। এবং শামির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তাঁরা। শামির জন্য প্রয়োগ হয় বাছা বাছা কমেন্ট। কেন মহম্মদ শামি তাঁর মেয়ের ভিডিও পোস্ট করেছেন? বলে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। পাশাপাশি যে গানের সাথে শামির ছোট্ট মেয়েকে নাচতে দেখা গিয়েছে, সেটি নিয়েও অনেক মৌলবাদী প্রশ্ন তুলেছেন। তবে বেশির ভাগ নেটিজেনই শামির মেয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। মহাম্মদ শামির ছোট্ট মেয়ে আইরা দিওয়ালিতে মেতে ওঠে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মহম্মদ শামি যে পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে শাড়ি পড়ে প্রদীপ জ্বালাচ্ছে তার মেয়ে। এরপর একটি হিন্দি নাচের সাথে ছোট্ট আইরা নেচে ওঠে। যথারীতি তাঁর পারফরমেন্সে খুশি হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃহস্পতিবার জাতীয় দলের ক্রিকেটার ভিডিওটি পোস্ট করেন। আর তারপর থেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। প্রচুর মানুষ যেমন আইরার নাচের প্রশংসা করেছেন, তেমনি অনেকে তীব্র সমালোচনাও করেছেন।

অবশ্য আগে থেকেই মহম্মদ শামিকে অনেকেই সাবধান করে দেন, মৌলবাদীদের ফতোয়া জারি নিয়ে। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয় এবং প্রত্যাশামতোই মৌলবাদীদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন মহম্মদ শামি। মৌলবাদীদের অনেকেই অত্যন্ত অপমানজনক কথা লেখেন শামিকে। তার ছোট্ট মেয়েটিও ছাড় পায়নি মৌলবাদীদের আক্রমণ থেকে। এই ঘটনায় শামি কোনো মন্তব্য না করলেও ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তাঁর অনুরাগীরা।

মৌলবাদীদের অপমানজনক মন্তব্যের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণাত্মক বার্তায় ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। তবে মৌলবাদীদের তাতে কিছুই যায় আসে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ তাঁরা নিজেদের মতামত নিয়ে চলে। এবং ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাস না করে চাপিয়ে দেওয়া মতামতের ওপর ভিত্তি করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আর সেভাবেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কেউ কেউ যখনই স্বধীনতার আশ্বাস নেওয়ার কথা ভেবেছেন, তখনই পড়তে হয়েছে মৌলবাদীদের কোপের মুখে। যেমন এদিন পড়লেন মহম্মদ শামি।