মৌসমের পর এবার খান পরিবারের এই সদস্যও কি এবার তৃণমূলের পথে পা বাড়াচ্ছেন! জোর জল্পনা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য January 30, 2019 গত সোমবারই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ তথা গনি পরিবারের অন্যতম সদস্য মৌসম বেনজির নূর। আর মৌসমের এই দলবদলের পরেই প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা। দলের সাথে মৌসম বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে গনি পরিবারের এই সদস্যের প্রতি তোপ দাগতে দেখা যায় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রকে। তিনি বলেন, “তৃণমূলে গিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করছে মৌসম। বিষয়টিতে মানসিকভাবে আমাদের দলের কর্মীরা আঘাত পেয়েছেন।” তবে শুধু প্রদেশ কংগ্রেসের তরফেই নয়, পরিবারের তরফেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে এই কংগ্রেসত্যাগী মৌসমকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মালদহের সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তথা সেই মৌসমেরই দাদা ঈশা খান চৌধুরী বলেন, “ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মানুষের উন্নয়ন করতেই যে ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে তা ও কি করে বোঝাবে।” এদিকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সেই উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের তরফে মৌসম বেনজির নূরকে প্রার্থী করা হবে বলে শাসকদল ঘোষণা করলে পাল্টা সেই আসনে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মৌসমেরই দাদা তথা সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরীকে প্রার্থী করবে বলে জানিয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র। কিন্তু এবার সেই ঈশা খান চৌধুরীও দল বদল করতে চলেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে কলকাতার এক জনপ্রিয় ওয়েব পোর্টালে। ওই পোর্টালের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে সেই কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী কলকাতায় এলেও প্রদেশ কংগ্রেসের কারও সাথে এখনও পর্যন্ত দেখা করেননি। তাই কংগ্রেসের এই সদস্যের দলবদল নিয়েও তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। একাংশের মতে, এই দল বদল করার আগে দীর্ঘদিন ধরে এই মৌসমও নেতৃত্বর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না। তাই এবার তাঁর দাদারও আচরণের মধ্যে সেই সমস্ত বিষয়ে লক্ষ্য করায় তিনি সেই পথেই পা বাড়াচ্ছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে ঠিক কী হতে চলেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই। কংগ্রেসের একাংশের দাবি, ঈশা খান চৌধুরীর দলবদলের কোনো প্রশ্নই আসে না।এখন মৌসমের পর গনি পরিবারের কংগ্রেসের দ্বিতীয় উইকেট আদৌ পড়ে কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -