এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মৌসমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের – জেনে নিন বিস্তারিত

মৌসমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের – জেনে নিন বিস্তারিত

সম্প্রতি মালদার ইংরেজবাজার পুরসভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে 15 জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সম্প্রতি পুরমন্ত্রীর সাথে বৈঠকেও ইংরেজবাজার পুরসভার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

অন্যদিকে ইংরেজবাজার পুরসভার দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ জানতেন দলীয় জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর এদিন একথা দাবি করেছেন ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।

এই দাবির বিরুদ্ধে পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ জানান, 28 শে আগস্ট 15 জন তৃণমূল কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরে পেরিয়ে গেছে 18 দিন। যদিও আইন অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাবের 14 দিনের মধ্যে আস্থা প্রমাণের জন্য সভা ডাকতে পারে পৌর চেয়ারম্যান।

14 দিন পেরিয়ে যাবার পর সেই সভা ডাকতে পারেন ভাইস-চেয়ারম্যান। ভাইস চেয়ারম্যানের সেই সভা ডাকার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে, ঠিক সেই সময় রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি ফোন করে তাঁকে সভা ডাকা থেকে বিরত করেন। তৃণমূল সভাপতির নির্দেশে পুরো ব্যাপারটা ধামাচাপা পড়ে যায়। এদিকে অনাস্থা প্রস্তাবের স্বাক্ষরকারী বেশকিছু কাউন্সিলর এই ইস্যু থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার জানিয়েছেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসার পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর, অবজারভার গোলাম রব্বানী কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। তাতে কিছুটা কাজ হয়েছিল। এরই মধ্যে চেয়ারম্যান একটি সংবাদপত্রে এমন এক বিবৃতি দেন, যাতে ফের অশান্তি শুরু হয়ে যায়। চেয়ারম্যানের তলবী সভা ডাকার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় গতকাল আমি দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু শক্তি প্রদর্শনে দুই পক্ষই অনড় থাকায় রাগ করে আমি তলবি সভা ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম। তার চিঠিও তৈরী হয়ে গিয়েছিল।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে জেলা সভাপতি সুব্রত বক্সীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দুলাল বাবু জানান, ‘আমি তাকে জানাই, আমরা জেলা তৃণমূল সভানেত্রীকে জানিয়েই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু কোন কারণে সে কথা তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাতে পারেননি। তার আগেই ঘটনাটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়ে যায়। যাই হোক, এ নিয়ে গতকাল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, অশোক সাহা, সুব্রত সর্দার, প্রসেনজিৎ দাস, আশিস কুন্ডু সহ আরো কয়েকজন কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা করে আমি তলবি সভার চিঠি আর মহকুমা শাসককে পাঠাইনি। আমি চেয়ারম্যানকেও বলব, তিনি যেন এর মধ্যেই সব কাউন্সিলরকে একসঙ্গে ডেকে নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলেন।’ এ প্রসঙ্গে মৌসুম নূর এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তাই তার তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনায় ইংরেজবাজার পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর নিহার রঞ্জন গুপ্ত বলেন, ‘এই সমস্যাটা দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে। আমার মনে হয় দলের নির্দেশে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে। তবে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার নিয়ে দলের জেলা সভানেত্রী কিছুই জানতেন না। মনে হয় তাকে দোষারোপ করার জন্য কোন একটা চক্রান্ত কাজ করছে। একথা ঠিক, একটি সংবাদপত্রে আমার নামে মিথ্যা বিবৃতি ছাপা হয়েছে। আমি এমন মন্তব্য কোথাও করিনি। রাজ্য নেতৃত্ব আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে বলেছে। আমি দলের ঊর্ধ্বে নই‌। একজন সৈনিক হিসেবে দলের নির্দেশ পালন আমার কর্তব্য।’

তবে এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে মালদা ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাথা ধরে নিয়ে তাঁকে সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্র করা হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!