কি কি কাজ করা উচিত সাংসদের, সাধারণ মানুষের কাছে পরামর্শ বিজেপির কলকাতা জাতীয় রাজ্য February 19, 2020 গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ব্যাপক উত্থান ঘটেছিল। এককালে উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি হলেও, লোকসভায় সেখানকার একমাত্র লোকসভা কেন্দ্র রায়গঞ্জ দখলের করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সাংসদ হয়েছেন বালুরঘাটের মেয়ে দেবশ্রী চৌধুরী। বর্তমানে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে। কিন্তু ভোট বড় বালাই। নির্বাচনের সময় দেবশ্রীদেবীকে সাধারণের কাছে পৌঁছে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গেলেও, বর্তমানে সাংসদ হয়ে যাওয়ার পর তিনি দিল্লির বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি সাধারণ মানুষদের। কাছে চাইলেও তাকে পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেন একাংশ। কিন্তু সামনেই তো পৌরসভা নির্বাচন। বিজেপিকে যদি এখানে ভালো ফল করতে হয়, তাহলে তো সাংসদ হিসেবে দেবশ্রীদেবীর পারফরম্যান্স কি তা তো দেখাতে হবে! আর তার জন্য এবার সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই পরামর্শ চাইল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলায় সাংসদ তহবিলের টাকায় কি কি উন্নয়নমূলক কর্মসূচি করা উচিত, তা জানতে এবার সমীক্ষা করে শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, সম্প্রতি ইসলামপুর টাউন কমিটির বিজেপির সভাপতি সন্দীপ ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেছেন, “ইসলামপুর শহরের উন্নতি ও বিকাশের জন্য কি কি করলে ভালো হয়, অনুগ্রহ করে আপনাদের মতামত জানান।” আর পৌর নির্বাচনের মুখে বিগত দিনে সাংসদ দেবশ্রীদেবীর উন্নয়নের মধ্যে দিয়েই পৌরসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে সাধারণের কাছে উন্নয়নের ব্যাপারে পরামর্শ চাইছে বিজেপি নেতারা বলে দাবি করছে একাংশ। কিন্তু এত বিলম্বিত বোধোদয় কেন! কেন এতদিন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে এলাকায় দেখা গেল না! তাহলে কি পৌরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বিজেপির এমন পদক্ষেপ! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের সংসদ সদস্য মন্ত্রী। তিনি জনে জনে কথা বলতে পারেন না। অনেকেরই মানুষের কাছে একটি ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মন্ত্রীর অনেক দূরত্ব। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। গোটা জেলার পাশাপাশি ইসলামপুরের মানুষের জন্য তার চিন্তা আছে। তিনি চাইছেন জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে সমস্যাগুলো উঠে আসুক। তিনি সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করবেন। শহর এবং জেলাবাসীর কাছ থেকে অনেক প্রস্তাব উঠে আসছে। আমরা সেগুলো মন্ত্রীকে জানাব।” একইভাবে এই ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরজিত সেন বলেন, “আমরা সকলের কাছ থেকে মতামত নিচ্ছি। জেলার উন্নয়নে কি কি কাজ করা উচিত, এই ব্যাপারে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে আমরা কাজ করছি। আমাদের সাংসদ তথা প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সেই প্রস্তাবগুলো দিয়ে দাবি জানানো হবে। আমরা যদি দাবিটাই না তুলি, তাহলে কাজ কি করে হবে।” তবে বিজেপি যে কারণেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করুক না কেন, বিরোধীরা অবশ্য দাবি করছেন, সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। আর তার জন্য বিজেপি এখন নিজেদের সাংসদকে বড় করে দেখাতে জনহিতকর কাজ করে সাধারণ মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে চাইছে। কিন্তু এতে করে কাজের কাজ কিছুই হবে না। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -