এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মৃণালিনীর প্রেম -(লাভ স্টোরি)- কলমে অপরাজিতা – পর্ব ৯

মৃণালিনীর প্রেম -(লাভ স্টোরি)- কলমে অপরাজিতা – পর্ব ৯


সারাটা দিন শ্রেয়সীকে কল করেছে কিন্তু না কোনো রিপ্লাই নেই। অনেক ম্যাসেজ করেছে তাতেও কোনো রিপ্লাই নেই।সারাটা দিন শ্রেয়সীকে কল করেছে কিন্তু না কোনো রিপ্লাই নেই। অনেক ম্যাসেজ করেছে তাতেও কোনো রিপ্লাই নেই। এতটা না হলেও এই জিনিসটাই হয় শেষে অভি গিয়ে দেখা করে ক্ষমা চেয়ে, মনমতো শপিং করিয়ে মেয়ের রাগ ভাঙ্গায়। সৌরভের এতেই আপত্তি, সৌরভের দাবি শ্রেয়সী অভিকে ভালো ছেলে পেয়ে নাচ্চাচ্ছে ,আর অভি নাচ্ছে। কিন্তু সৌরভ যাই বলুক অভি মানবে না সে জানে তার শ্রেয়সী তাকেও খুব ভালোবাসে।সব ঠিকই ছিল পাকামি করে ঘেঁটে দিলো ওই মেয়েটা।

না এবার শ্রেয়সীকে রাজি করাতেই হবে বিয়ের জন্য নয়তো যার তার সাথে মা ব্ল্যাকমেল করে বিয়ে দিয়ে দেবে অভির। অভি শ্রেয়সীকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসতে পারবে না অসম্ভব। মৃণালিনীকে নিয়েও শুরু করেছিল ওর মা কিন্তু যা হোক করে সামলেছে সব। বিকালে পৌঁছেই সোজা গেছে শ্রেয়সীর ফ্ল্যাটে ,সে আগে অন্য রূমমেটদের সাথে থাকতো কিন্তু সেই মাসির মেয়ের বিয়ের থেকে ফিরে এসে আলাদা ফ্লাট নিয়েছে যুক্তি একটাই ওদের সাথে থাকতে প্রব্লেম হচ্ছে।

বেল বাজলো দরজা খুললো অন্য একটা ছেলে অভি চেনে তাকে, এর সাথেই শ্রেয়সী পিকচার তুলেছিল। এখানে কি করছে, অভি থমকে দাঁড়ালো , সে গিয়ে শ্রেয়সীকে ডেকে দিলো। শ্রেয়সী অভিকে দেখে একটু থতমত খেয়ে বললো – তুমি এখানে ?

অভি – উনি ?

শ্রেয়সী – হ্যাঁ, পুনেতে শিফট করেছে সুনীত, সো আমার সাথে দেখা করতে এখানে এসেছে। বাট তুমি এখানে কেন?আমি তো বললামই যে আমি তোমার সাথে আর এই সম্পর্কটা কন্টিনিউ করতে পারবো না। আই মিন করবো না।

অভি – তুমি আমাকে ভুল বুঝছো ,

শ্রেয়সী আচ্ছা। ফোনটা দাও, শ্রেয়সী অভির ফোনের পাসওয়ার্ড জানে , পাসওয়ার্ড খুলে গ্যালারিতে গিয়ে পিকচার গুলো দেখলো, প্রত্যেকটাই জ্বলজ্বল করছে মৃণালিনী।

এগুলো কি? কেন তোমার সব ফটোতে ওই মেয়েটা।

অভি – ওখানে বিয়ে হচ্ছিলো , সেই কারণেই মেয়েটা দাঁড়িয়েছিল আমি ওকে কি করে বাদ দিয়ে ফটো তুলবো, ওকে বাদ দিলে দাদা বৌকেই তো বাদ দিতে হবে।

শ্রেয়সী – ওকে, আমাকে ওই মেয়েটার গান কেন পাঠিয়েছ? রেকর্ডিং কেন করেছো? যদি তোমার ওকে নিয়ে কোনো ফিলিংস না থাকে।

অভি – ও ভালো গান গায় তাই, আর আমার মনে অন্য কিছু থাকলে কি আমি তোমাকে পাঠাতাম ,

শ্রেয়সী অভির হোয়াটস্যাপ টা খুলে দেখলো সেখানেও মৃণালিনী উপস্থিত। ম্যাসেজ করা আছে কটা। অভি করেছে ম্যাসেজ গুলো। অন্য কিছু নয় ওর গানের রেকর্ডগুলো। এর পরেও আমাকে বিলিভ করতে হবে।

অভি – আমি ব্লক করে দিচ্ছি তোমার সামনে। প্লিজ বিশ্বাস করো।মৃণালিনীকে ব্লক করে দিলো অভি। ফেইসবুক থেকে হোয়াটস্যাপ থেকে সবজায়গা থেকে।

শ্রেয়সী বললো- এখন যাও, আমি ভেবে জানাবো।

তারপরেও অনেক কথা হলো কিন্তু না শ্রেয়সী শেষে জানিয়েই দিলো

আমি কোনো কথা আর শুনতে চাই না। আমি তোমার সাথে সিরিয়াসলি হাঁপিয়ে গেছি। আমি চাই না তোমার সাথে আর কোনো রকম সম্পর্ক রাখতে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

অভি তবুও বলেছে একবার ভেবে দেখতে। শ্রেয়সী বলেছে ভাববে। জানে না অভি কি হবে এবার সত্যিই কি ও মানবে নাকি সব শেষ হয়ে গেলো ? ওই ছেলেটা কি করছে ওখানে ?জানে না কিচ্ছু জানে না বাড়ি ফিরলো। সৌরভ এর সাথে একচোট হয়ে গেছে এর মধ্যেই। সৌরভ বলেছে শ্রেয়সী অভিকে চিট করছে শ্রেয়সী অভিকে ভুল বোঝাচ্ছে, ওই বেরোতে চাইছে সম্পর্কটা থেকে কিন্তু অভির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে।

অভি মানে নি তার শ্রেয়সী তার সাথে এমন করতে পারে না। অভি কি করে ভুলবে সেই প্রথমকার দিনগুলোর কথা। যখন ওকে চিট করেছিল সুরাজ। তখন তো শ্রেয়সী খুব কষ্ট পেয়েছিলো। অভি তখন শুধু ওর বন্ধু ছিল একসঙ্গে চাকরি করতে করতে দেখা হয়েছিল।অভির ভালো লেগেছিলো কিন্তু শ্রেয়সীর ব্রেকআপ হয়েছিল সে কষ্টে আছে তখনিই তাকে কি করে বলবে যে অভি ভালোবাসে তাকে। তারপর শ্রেয়সীই ওকে প্রপোস করে অভিকে।

কয়েকদিন গেলো এমন করেই না শ্রেয়সী ফোন ধরে না।ম্যাসেজ দেখে না। আবার গেলো শ্রেয়াসীর ফ্ল্যাটে অভি। না কেউ দরজা খুললো না সেদিন। একজন পাশের ফ্লাট থেকে বের হচ্ছিলো সে জানালো যারা এখানে থাকে তারা দুদিন ধরে এখানে নেই, কোথাও গেছে। অভির মাথায় বাজ পড়লো – যারা থাকে মানে ? ও জানে ফ্ল্যাটে শুধু শ্রেয়সী একা থাকে।

অভি কথা বলে যা জানতে পারলো এখানে শ্রেয়সী একা থাকে না। ওর সাথে আর একটা ছেলে থাকে প্রায় ১ মাসের উপর আছে দুজনে একসাথে। সুনীত আর শ্রেয়সী নাকি খুব শীঘ্রই বিয়ে করবে।  আর দাঁড়াতে পারছে না।

বিয়েবাড়ি থেকে এসে মৃণালিনী ফেইসবুক থেকে সমস্ত পিকচার ডিলিট করে দিয়েছে। ফেসবুকে হোয়াটসাপে অভি যে ওকে ব্লক করে দিয়েছে সেটাও বুঝেছে। বাড়ি এসে কদিন খুব কেঁদেছে ,কেউ কিছু বোঝেনি কেননা, দিদিকে সে খুব ভালোবাসতো তাই দিদির জন্য মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। এখন অনেক পরিণত মৃণালিনী, আর চুরি করে আমূল দুধ খায় না,  ফেসবুকে সেলফি পোস্ট করে না। দরকার ছাড়া হোয়াটসাপেও অন থাকে না,সাজে না। ইউনিভার্সিটিতে কয়েকটা অনুষ্ঠান ছিল এমনিই গেছে ,সাজতে গেলেই অভির কথাগুলো মনে পরে যায়। বাড়ি থেকে বিয়ের কথা চলছে। এক্সাম দিলেই বিয়ের দেখাশোনা শুরু হবে। মৃণালিনী খুব মন দিয়ে পড়ছে ভালো রেজাল্ট করতেই হবে, পিএইচ ডি তে চান্স পেতেই হবে, স্যার খুব ভালোবাসেন মৃণালিনীকে। নিজের আর এক মেয়েই বলেন। তাঁকে দিয়ে বাবাকে যা হোক করে রাজি করাতেই হবে। অভির জায়গায় কাউকে বসাতে পারবে না।

অনেকবার বিভাসদা বলেছে ওদের বাড়ি যাবার কথা ,না মৃণালিনী আর কোনোদিনই যাবে না। অনেক স্মৃতি আছে ওর তাছাড়া অভির ওটা মাসির বাড়ি সেখানে আসবেই, হয়তো শ্রেয়সীকে বিয়ে করেই নিয়ে আসবে। কি করে পারবে মৃণালিনী শ্রেয়সীর অভিকে দেখতে। অভি সত্যিটা জানার পর খুব ভেঙে পড়েছিল বিশ্বাস হয়েও হয়নি, আর একদিন গিয়েছিলো সেখানে সব স্পষ্ট দেখেছে ও। শ্রেয়সী জানিয়ে দিয়েছে সে আর সুনীত একসাথে থাকে আর কদিন পর বিয়ে করবে যেন অভি আর ওদেরকে ডিসটার্ব না করে। না আর অভি ডিসটার্ব করেনি শ্রেয়সীকে। সে ও নিজের মতোই কোনোমতে দিন কাটাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!