এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মুখ থুবড়ে পড়লেন দলবদলুরা, ভোটবাক্সে পদ্ম পড়তে পারলেন না সব্যসাচী- রাজীবরা!

মুখ থুবড়ে পড়লেন দলবদলুরা, ভোটবাক্সে পদ্ম পড়তে পারলেন না সব্যসাচী- রাজীবরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছিলেন তারা। একের পর এক সভা থেকে প্রাক্তন দল এবং প্রাক্তন নেত্রীর দিকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জিতেন্দ্র বাড়ি থেকে শুরু করে প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়ার মত সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের হয়ে টিকিট পেয়ে লড়াইয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী হলেও, শেষ পর্যন্ত ভরাডুবি হল দলবদলু এই সমস্ত বিজেপি নেতাদের।

মূলত, নতুন দলে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভার টিকিট পেয়ে গিয়েছিলেন এই সমস্ত বিজেপি নেতা নেত্রীরা। নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কল্যানেন্দু ঘোষের কাছে পরাজিত হতে হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একইভাবে পাণ্ডবেশ্বরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েও পরাজিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের কাছে পরাজিত হয়েছেন প্রবীর ঘোষাল এবং বৈশাখী ডালমিয়াকে পরাজিত হয়েছে হয়েছে তৃণমূলের রানা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।

একাংশ বলছেন, এই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের জেতাতে বিজেপির হাইপ্রোফাইল নেতারা বারবার তাদের বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে প্রচার করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর মত শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রীরা বারবার বাংলায় এসে ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয় প্রকাশ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিজেপি তৃণমূল থেকে নেতাদের নিয়ে জয়লাভের স্বপ্ন দেখলেও, তা কার্যত স্বপ্নই থেকে গেল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরে গেলে কারো কোনো দাম থাকবে না। বাস্তবে ফলাফল প্রকাশের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বৈশালী ডালমিয়া থেকে শুরু করে প্রবীর ঘোষাল বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে সকলেই যে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেলেন, তা বলাই যায়।

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এর ফলে দুটি জিনিস প্রমাণিত হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে তার গুরুত্বপূর্ণ সৈনিকদের নিয়েও বিজেপি বাংলার মাটিতে দাগ কাটতে পারল না। এক্ষেত্রে যদি এই দলবদল নেতারা নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করে দিতে পারতেন, তাহলে প্রমাণ হয়ে যেত, তারা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু বাস্তবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে তাদের ব্যক্তিগত কারিশমা বলে যে কিছুই নেই, সবটাই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এতকাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যার ফলে তৃণমূল থেকে নেতা নিয়ে এসেও বিজেপি যে বঙ্গ রাজনীতিতে সেভাবে লাভ করতে পারল না, তা বলাই যায়। তবে তৃণমূল ভাঙিয়ে এই নেতা নেত্রীদের নিয়ে এসে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে তাদের দাঁড় করিয়েই কি বিজেপির এই পরাজয় হল? এখন এটাই মূল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!