প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাঁকুড়ার সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে মানবিক সরকার বলেই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর সরকার মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। সেইসঙ্গে সরকারি কাজ সাধারণ মানুষের জন্য তাঁরা বিনা পয়সায় করে দেন বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

তবে এবার তাঁরই এই কথাকে কটাক্ষ করতে দেখা গেল লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। বস্তুত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে বলেই মন্তব্য করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায় বাংলার শাসনভার পাওয়ার আশায় দুই দলই উঠে পড়ে লেগেছে।

আর সেখানে তৃণমূলকে ধারাবাহিকভাবে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির তরফে। তবে এবার সেই তালিকায় যোগ দিতে দেখা গেছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে বিজেপি সাংসদ বললেন, “একুশের নির্বাচনের পর কালিঘাটে পিসি আর ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ থাকবেন না!”

শুধু তাই নয়, একুশের নির্বাচনকে আগে যেখানে জেলায় জেলায় সভা করতে দেখা গেছে বিজেপির সাংসদ-নেতাদের। সেখানে বুধবার মেচেদায় রেল ময়দানে কৃষি আইনের সমর্থনে সভা করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শঙ্কুদেব পণ্ডা-সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে।

আর সেখান থেকেই কাল মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তৃণমূল ত্যাগী’ মন্তব্যকে বিদ্রুপ করে এদিন তিনি বলেন, “আমফানের টাকা চুরি করা, কেন্দ্রের পাঠানো চাল-ডাল চুরি করা তৃণমূল নাকি ত্যাগী!” সেইসঙ্গে এদিন বাংলার বেকারত্ব প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীকেই কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে।

এদিন তিনি বলেন, করোনার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতেই বাংলার কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, বাংলায় কোনও কাজ নেই বলেই হাজার হাজার মানুষকে ঘর ছেড়ে, পরিজনদের ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হচ্ছে। করোনার কারণে তাঁরা রাজ্যে ফিরলেও ফের তাঁদের চলে যেতে হয়েছে।

তাঁর কথায়, বাংলায় শুধু তিনটেই শিল্প, “চপ, ঢপ আর বোমা!” অন্যদিকে, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও একের পর এক খুন, অশান্তি হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যে সন্ত্রাস দমনে মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাঁকে।

তাই বাংলার মানুষকে নিজেদের স্বার্থে, সুস্থ বাংলা পেতে একুশের নির্বাচনে বিজেপিতে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বিজেপি যে বাংলার মানুষের পাশে থাকবে সেই আশ্বাস দেন তিনি। সেইসঙ্গে একুশে জিতে সোনার বাংলা গড়ে তোলার আশ্বাসও দিতে দেখা গেছে তাঁকে।