এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একের পর এক তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর ৩৫ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতিকে প্রতারণা আখ্যা সুজনের!

একের পর এক তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর ৩৫ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতিকে প্রতারণা আখ্যা সুজনের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের পর চাকরির বাজার যা হয়েছে তাতে সেই বিষয় নিয়ে রাজনীতির প্রচার করতে কোনো দল ছাড়বে না, সেকথা আগেই বলতে দেখা গিয়েছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকদের মতে, সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে উঠে আসবে বলেই মনে করা হয়েছিল। আর এবার বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কণ্ঠে সেই অভিযোগই উঠতে দেখা গেছে।

বস্তুত, কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামী তিন বছরে এরাজ্যের ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। যার মধ্যে থাকবে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি মিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ শিল্প। তাছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও ৫ লক্ষ চাকরির সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে হ্যান্ডলুম এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চাকরির প্রতিশ্রুতিকেই ‘প্রতারণা’ বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে। তাঁর কথায়, ”ভোটের আগে চাকরির প্রতিশ্রুতি না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে নিয়োগ করে দেখান। তাহলেই বোঝা যাবে মুখ্যমন্ত্রী সত্যি কথা বলছেন কি না।” ভোটের আগে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি।

এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ”গতবার ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ৬০ হাজার গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের কথা বলেছিলেন অথচ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। ভিআরপি-দের মাইনে ১২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন কিন্তু তা করা হয়নি।” সেইসঙ্গে টেটের ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত সকলের নিয়োগ করা হয়নি বলেও অভিযোগ জানান তিনি।

এরপর ২০১৭ সালে যে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, তা নেওয়া হয়নি বলেও জানা গেছে। বস্তুত দেখতে গেলে পশ্চিমবঙ্গে এখন শূন্যপদ রয়েছে ৫ লক্ষ। আর এতদিন এই শূন্যপদের কথা মনে না পড়লেও ঠিক ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর চাকরির কথা মনে বলা, আসলে প্রতারণা বলেই মনে করছেন তিনি। তবে তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!