একুশের বিধানসভার আগে মমতার হাওয়াই চটি এল খবরের শিরোনামে! তীব্র তরজা দিলীপ ও সৌগতর মধ্যে! তৃণমূল বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য January 25, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাওয়াই চটি পড়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল নেত্রী মমতা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধীদের বিভিন্ন কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়। একুশের বিধানসভার নির্বাচনে এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাওয়াই চটি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে দলীয় জনসভায় যোগ দেবার জন্য উপস্থিত হয়েছেন। সেখানেই এদিন সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি এবং হাওয়াই চটি প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে করেন তীব্র কটাক্ষ। এদিন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে জানিয়ে দেন, এবার তৃণমূলের দিন শেষ। আর সেই সূত্রেই তিনি কটাক্ষ করেন হাওয়াই চটির দিন শেষ হয়ে গেছে বলে। আর কেউ যে হাওয়াই চটি পড়তে চাইছে না সে কথাও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন আসতে আর বিশেষ দেরী নেই। দুই দলের প্রচারের পাশাপাশি নিত্যদিন তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। ভোটযুদ্ধে একে অপরকে মাত দিতে সদাব্যস্ত এই দুই দল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সুতরাং এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিত করে বলেন এদিন আগামী দিনে আসতে চলেছে রাজ্যের শাসকের আসনে গেরুয়া শিবির। সেদিকে ইঙ্গিত করে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, বিজেপি প্রত্যেককে জুতো পড়াবে। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে পাল্টা একহাত নেন রাজ্যের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি দিলীপ ঘোষকে এদিন কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। সৌগত রায় এদিন বলেন, দিলীপ ঘোষের পক্ষে চটির গুরুত্ব বোঝা সম্ভব নয়। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের জামা কাপড়ের স্টাইল বদলানো নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ। সব মিলিয়ে স্পষ্ট একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। আর সেই উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তুলতে দুই রাজনৈতিক নেতার কটাক্ষ যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত রাজ্যের মসনদ দখল করার লড়াইয়ে কে এগিয়ে থাকবে সেদিকেই এখন নজর সবার। আপনার মতামত জানান -