প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ বীরভূম সফরে গেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে সকালে হোটেল থেকে বেরিয়ে খেজুর রস খেয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তাঁকে সিউড়ির বিভিন্ন এলাকায় যেতে দেখা গেছে। বস্তুত, সেখানে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য স্থানীয়দের সাথে তাঁকে কথা বলতে দেখা গেছে। তবে এরপর তিনি সরাসরি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

আর সেখানেই তাঁকে রাজ্য সরকার, বাম কংগ্রেস এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনকে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে। এদিন তিনি প্রথমেই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তাঁর কথায়, একসময় এটা কংগ্রেসের গড় থাকলেও এখন আর নেই। কংগ্রেস একটা এমপি সিটও জিততে পারেনি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর কথায়, “একজন ল্যাংড়া, আর একজন অন্ধ, একে অন্যের কাঁধে হাত দিয়ে হাঁটছে। রাস্তা পার হচ্ছে।” আর এটাকেই তিনি আজকের সিপিআইএম, কংগ্রেসের অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন। আর এরপরই তৃণমূলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল এখানে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

তাঁর কথায়, যদি গড় থাকত, ক্ষমতা থাকত, তাহলে তারা ১১৮ টা মিউনিসিপালিটি আর কর্পোরেশনে ইলেকশন করে দিত বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, তৃণমূল জানে বিজেপি জিতবে, তাই কোন গড় নেই। শুধু তাই নয়, যদি গড় থাকে, তাহলে সেটা বিজেপি ভেঙে দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে তাঁকে।

তাঁর কথায়, সিউড়িতে যে একুশটা ওয়ার্ড আছে তার মধ্যে বিজেপি ১৮ টাতে লিড নিয়েছে। সেইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ওয়ার্ডও ছিল। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন যে, “ওনার ওয়ার্ডে আমরা লিড নিয়েছি। দম থাকলে পরবর্তী ইলেকশনে জিতে দেখাক। বীরভূমে এসে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, ওদের খাতা খোলাতেও সমস্যা করে দেব।” তাঁর কথায়, তৃণমূল সরকার এখন জেলগুলোকে সংস্কার করছে যাতে ওদের ভোট পেতে সমস্যা না হয়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি যদি উন্নয়ন করতেন তাহলে আজকে ওনাকে দৌঁড়ে গিয়ে খাটিয়ায় বসতে হতো না। বাঁকুড়ায় তিন দিন থাকতে হতো না। তাঁর কথায়, তৃণমূল কি উন্নয়ন করেছে সেটা লোক এবার বুঝিয়ে দেবে। তাঁর মতে, বিজেপি তাদের পঞ্চায়েতে আর পার্লামেন্ট নির্বাচনে দুবার হারিয়েছে। আবারও হারাবে।

সেইসঙ্গে তিনি বলেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলে যেন গিয়ে মিথ্যা কথা না বলেন। পরের বার যেন গঙ্গার পাশে কোন সিট আশা করেন বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিন সেইসঙ্গে তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উদ্দেশ্যে বলেন, “ইলেকশনের আগে অনেকেই অনেক কথা বলে। কিন্তু এখানকার মানুষ যে বিজেপিকে চায়, তার প্রমাণ আগেই লোকসভা নির্বাচনে পাওয়া গেছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।