মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর, বিতর্ক তুঙ্গে কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 6, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছে মানুষের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে বিধায়ক পদে জিততে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে জায়গায় তাঁকে হারিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক হন শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত তারপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে বিরোধীরা বিভিন্ন সময় বিতর্কের অবতারণা করেছেন। অনেকেই বিধায়ক পদে না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মমতাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বহুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নন এমএলএ সিএম’ বলে কটাক্ষ করেছেন। একই কথা আবারও তিনি আজকে বিধানসভার বাইরে বললেন। কার্যত আজকে বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের ওপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণ দিতে শুরু করেন। কিন্তু বিজেপির দাবি ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যাতে আলোচনা হয় বিধানসভায়। কিন্তু তাঁদের দাবি স্পিকার বাতিল করে দেন। আর এই নিয়েই বিরোধী বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষ বয়কট করে সভাকক্ষের বাইরে এসে তাঁরা একদিকে যেমন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, ঠিক সেভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হন। আর সেখানেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারো এমএলএ না হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ আঁকড়ে থাকার জন্য তীব্র কটাক্ষ করেন। শুভেন্দু এক্ষেত্রে উদাহরণ দিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের। বিরোধী দলনেতা জানান, হিমাচল প্রদেশে বিজেপি জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল হেরে যান। তারপর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আবেদন জানানো হলেও তিনি আর রাজি হননি। একইসাথে এদিন তৃণমূল বিধায়কদের শুভেন্দু অধিকারী কোম্পানির কর্মচারী এবং ল্যাম্পপোস্ট বলে উল্লেখ করেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই পাল্টা তৃণমূলের প্রশ্ন, এতদিন তাহলে শুভেন্দু অধিকারী কি ছিলেন? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনের হাত ধরে ফিরে আসতে হবে সাংবিধানিক উপায়ে। যদিও এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিরোধীদের প্রবল ইচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী যেন নৈতিক কারণে নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন। যদিও সরাসরি তাঁরা এই দাবি এখনো তোলেনি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিব্রত করার সুযোগটুকু তাঁরা না ছেড়ে কাজে লাগাচ্ছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক পদে না জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার কারণে উপ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা ভীষণভাবে হয়ে পড়েছে। আবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সে ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ভোটের দিনক্ষন ঠিক করা নিয়ে। আপাতত নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকেই নজর সবার। আপনার মতামত জানান -