এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনা উড়িয়ে তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে জোরদার আন্দোলন চালিয়েই যাবে জেডিপি

মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনা উড়িয়ে তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে জোরদার আন্দোলন চালিয়েই যাবে জেডিপি

একাধারে বিজেপি বাংলার উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। অন্যদিকে তার সাথে যোগ হয়েছে ঝাড়খণ্ড দিসম পার্টি। দিনের-পর-দিন ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির আন্দোলনে, অবরোধে মালদা জেলার প্রশাসনের কাজ বাধা পাচ্ছে। এই অবস্থায় মালদার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মালদা জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়াকে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ভর্ৎসনাকে উড়িয়ে দিয়ে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি ঘোষণা করেছে, তাঁরা তাঁদের আন্দোলন আরো জোরদার ভঙ্গিতে সামনের দিনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, মালদহে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির অবরোধ প্রায়ই গোটা মালদা জেলা জুড়ে চলে। গত সোমবারে হবিবপুর, গাজল এবং পুরাতন মালদহে রাস্তা অবরোধ করে ঝাড়খণ্ড পার্টির নেতা-নেত্রীরা। তাঁদের দাবি ছিল, অলচিকি ভাষাকে স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে অন্তর্ভুক্তি করতে হবে। এছাড়া, গ্রামাঞ্চলের যাতায়াতের জন্য টোটোকে শহর অঞ্চলে চালানোর দাবিতে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ আটক হয়ে থাকে জাতীয় সড়ক। যানবাহন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

এই ঘটনাকে সামনে রেখে আন্দোলনের 24 ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভে ফেটে পড়েন মালদা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে। ঝাড়খণ্ডে দিশম পার্টির আন্দোলন অবরোধ নিয়ে তিনি মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে সর্বসম্মুখে ভর্ৎসনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঝাড়খণ্ড থেকে টাকা নিয়ে এসে মালদহে আন্দোলন করা হচ্ছে। এই আন্দোলনের আড়ালে দুজন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ বিষয়ে এস টি এফ ও সি আই ডিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, এই ঘটনার পর ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি প্রতিবাদে মুখর হয়। তাঁরা গাজলে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীকে “আদিবাসী বিরোধী” বলে উল্লেখ করেন। এদিন ঝাড়খণ্ড পার্টির জেলা সভাপতি রবি মুর্মু জানান, তাঁদের আন্দোলন আগামী দিনে আরও প্রবল ভাবে চলবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “ভাষার দাবিতে পাঁচ রাজ‍্যে আমাদের আন্দোলন চলছে। এতে টাকা নেওয়ার কোনো বিষয় নেই। অথচ প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।” রবি আরও বলেন, “আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন চলছে। এ রাজ্যের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসম, ওড়িশাতেও তা চলবে।”

অন্যদিকে, এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মালদহ জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তথা আদিবাসী নেত্রী সরলা মুর্মু বলেন, “আদিবাসীদের ভুল বুঝিয়ে আন্দোলন করানো হচ্ছে। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীই কাজ করছেন।” মালদা জেলার ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির আন্দোলন আজ থেকে নয়, বহুদিন ধরেই চলছে।

মূলত আদিবাসীদের অধিকার সম্পর্কিত এই লড়াই বলে দাবি করেন তাঁরা। যেমন- রাজ্য স্তরের পঠন-পাঠনে অলচিকি ভাষার অন্তর্ভুক্তি তাদের লড়াইয়ের একটা মুখ্য অংশ বলে জানা গেছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়ে নানাবিধ সমস্যার সমাধান বাতলে দিচ্ছেন তাতে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!