প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলায় যেমন গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহের জেরে ভাঙনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, ঠিক সেরকমই আরো একটি রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের বড় রকমের অন্তর্কলহের ছবি সামনে এসেছে। তবে এই দুই রাজ্যের মধ্যে পার্থক্য একটাই, বাংলায় গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় নেই। কিন্তু সেই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর আসনে রয়েছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না নিশ্চয়ই কথা হচ্ছে কর্ণাটক নিয়ে। কর্ণাটক রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমশ চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে। প্রধানত বিজেপি সরকারের অর্ধেক নেতার বিরোধিতা প্রকাশ পাচ্ছে তাঁদের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উঠে এসেছে পরিবারতন্ত্র এবং এই অভিযোগ করেছেন কর্নাটকের বিধান পরিষদের সদস্য বিশ্বনাথ। পাশাপাশি তিনি কর্নাটকের বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অরুণ সিং কে জানিয়েছেন, ইয়েদুরাপ্পার পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালানো আর সম্ভব নয়। বিশ্বনাথ অভিযোগ জানিয়েছেন, প্রশাসনের নানা কাজে ইয়েদুরাপ্পার পরিবারের হস্তক্ষেপ আর মেনে নেওয়া যাচ্ছেনা। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে সব ব্যাপারেই মতামত দেন। একই সাথে বিতর্ক তৈরী হয়েছে সম্প্রতি বেসরকারি একটি সংস্থাকে জলের দরে সরকারি জমি লিজ দেওয়া নিয়ে।

পাশাপাশি অভিযোগ, বোর্ড মিটিং না করে সেচ প্রকল্পে কুড়ি হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে 2019 এ কর্ণাটকে জনতা দল সেক্যুলার এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের 18 জন বিধায়ক ত্যাগ করে বিজেপিতে আসেন। তারপর বিজেপি সরকার গঠিত হয়। এই বিধায়কদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিশ্বনাথ। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, কর্নাটকের বেশ কয়েকজন বিধায়ক প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছেন ইয়েদুরাপ্পার একসময়ের ঘনিষ্ঠ কে এস ঈশ্বরাপ্পা।

কর্ণাটকের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা ইতিমহ্যেই রাজ্যপাল বাজুভাই বালাকে চিঠি লিখে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করেছেন। সবমিলিয়ে কর্নাটকে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম মুখ তথা দক্ষিণ ভারতে বিজেপির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, বিদ্রোহ হলেও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের অনেক কাছের হলেন কর্ণাটকের ক্ষমতাশালী মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে অন্যান্য বিধায়কদের অভিযোগ কতটা কাজ করবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে।