এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মুখ্যমন্ত্রীর ছবির মুখে লিপস্টিক-সিঁদুর! ক্ষোভে ফুটছে তৃণমূল, উত্তাল উত্তরবঙ্গ

মুখ্যমন্ত্রীর ছবির মুখে লিপস্টিক-সিঁদুর! ক্ষোভে ফুটছে তৃণমূল, উত্তাল উত্তরবঙ্গ

এবার উত্তরবঙ্গে একটি ন্যক্কারজনক ঘটনাকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন, ঠিক তখন মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে লিপস্টিক, সিঁদুর লাগানোর ঘটনার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৃণমূল দলের তরফ থেকে তীব্র ধিক্কার জানানো হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে এখনও পর্যন্ত সেই নিয়ে কিছু জানা যায়নি।

তবে শাসক শিবিরের দাবি, এই ঘটনায় বিজেপির হাত আছে। দীর্ঘদিন পরে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা দিয়েছেন প্রশাসনিক বৈঠকের উদ্দেশ্যে। আর তার মাঝেই এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পরল।

উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন কার্শিয়াং এর প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রীর একটি ছবি বিকৃত করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সহ একটি ফ্লেক্সে লাল রং দিয়ে ঠোঁটে লিপস্টিক কপালে সিঁদুর পড়ানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে তিন জনকে আটক করেছে‌।

অন্যদিকে, এই খবর পাওয়ার সাথে সাথে এলাকায় এসে পৌঁছান দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।এদিন সকালেই চিকিৎসা করাতে এসে এক রোগীর বাড়ির লোক প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তড়িঘড়ি তিনি ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীকে খবর দেন।

খবর পাওয়ার সাথে সাথেই জেলা সভাপতি সহ অন্যান্য নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ পৌঁছে এরপর তড়িঘড়ি সরিয়ে ফেলে বিকৃত ছবিটি। ঢেকে ফেলা হয়। এ ঘটনায় দোষী সন্দেহে তিন রংমিস্ত্রিকে আটক করে পুলিশ। তৃণমূলের তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ বিষয়ে দার্জিলিংয়ের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, ‘হাসপাতাল চত্বরে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। তা সত্বেও কিভাবে এমনটা হল তা খতিয়ে দেখুন পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন, এটা তাঁদের গাফিলতি। এমনটা হওয়ার কথা নয়। এটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের ছাড়া হবে না। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।

আমরা দাবি জানাচ্ছি, যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের ক্ষমতা থাকলে প্রকাশ্যে আমাদের সামনে এসে এই কাজ করে দেখাক রাতের অন্ধকারে এসব করে কি বোঝাতে চাইছে তারা? এটুকু বলতে পারি যে বা যারা এই কাজ করেছে তারা বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।’

তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক দলাদলি প্রসঙ্গটি একেবারেই ফেলে দিচ্ছে না পুলিশ। আটক তিনজনকে জেরা করার পাশাপাশি হাসপাতালে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য ইতিমধ্যেই দাবি করেছে তারা কোনোভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।

তবে এই ঘটনায় শাসক দলের পক্ষ থেকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে বিরোধী দলের প্রতি‌। অন্যদিকে বিরোধী দল শাসক দলের অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে জানিয়েছে, এই ঘটনার সাথে তাঁরা কোনোভাবেই জড়িত নয়। পেছন থেকে এভাবে বিরোধিতা করার কোনো মানে হয়না।

অন্যদিকে, রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ঘটনা কে বা কারা করেছে জানা নেই। কিন্তু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলতেই হবে, এটি সম্পূর্ণভাবে একটি লজ্জাজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা হওয়া উচিত নয়। কাউকে কুইঙ্গিত করে রাজনীতিতে সফল হওয়া যায়না বলে মনে করছেন তাঁরা। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলেরই নজর রাখা উচিত বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন। আপাতত সম্পূর্ণ ঘটনার দিকে পুলিশ প্রশাসন এবং শাসক সরকার উভয়ই কড়া নজর রেখেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!