এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে কাজের ‘সুবিধা’ নিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! চোখ কপালে তদন্তকারীদের!

মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে কাজের ‘সুবিধা’ নিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! চোখ কপালে তদন্তকারীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা। দুর্নীতি ইস্যুতে ঠিক এরকমই একটি ছবি ধরা পরল রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। বিরোধীরা এতদিন ধরে প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসছে সরবে। যদিও প্রশাসন তাতে বিন্দুমাত্র কান দেয়নি। তবে এবার বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসায় নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে উঠে-পড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসক দল তথা রাজ্য প্রশাসন। আর এবার দুর্নীতি ধরা পড়েছে খোদ নবান্নের অন্দরে। সম্প্রতি নবান্নে সিএমওতে কর্মরত এক অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

দুর্নীতির অভিযোগে এই অফিসারকে ইতিমধ্যে বদলি করে অন্য একটি সরকারি দপ্তরে পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গে। কিন্তু তাতেও রেহাই মিলল না তাঁর। সম্প্রতি ওই অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেছে রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা। দেখা যাচ্ছে, ওই অফিসারের সম্পত্তির পরিমাণ তার বেতনের পরিমাণের প্রায় 300 গুণ বেশি। আর এই ঘটনা সামনে আসার হতবাক হয়েছেন দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসারেরাও। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ওই কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।

বিষয়টি সামনে আসার পরেই প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন শাখার তদন্ত শুরু হবার পরেই তদন্তকারী অফিসারেরা ওই অফিসারের সমস্ত সম্পত্তির তত্ত্বতালাশ শুরু করে। আর তা করতে গিয়েই উঠে এসেছে একের পর এক অবাক করা তথ্য। জানা গিয়েছে, ওই অফিসারের মাইনে ছিল 50 হাজার টাকা কিন্তু কলকাতা শহরে তার তিন তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার প্রত্যেকটি দাম প্রায় 50 লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ফ্ল্যাটের অন্দরেও খরচ হয়েছে প্রায় বেশ কয়েক লাখ টাকা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও বেনামে দুটি জমির হদিস মিলেছে এবং একটি রিসোর্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে মাত্র 50 হাজার টাকা মাইনে নিয়ে তিনি ব্যাংকে জমিয়েছেন দু লাখ টাকা। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, বেতনের 300 গুণ বেশি সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। এদিকে ওই অফিসারের কর্মক্ষেত্রে তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসছে বিভিন্ন দুর্নীতির কান্ড। জানা গিয়েছে, সিএমওতে যে কদিন ছিলেন এই অফিসার, তখন তাঁর পদের সদ্ব্যবহার করে তিনি বহু ব্যক্তিকে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। ফলস্বরূপ, পকেটস্থ করেছেন ঘুষের টাকা বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের অফিসারের পরিচয় দিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কেস সেটেল করেছেন উপযুক্ত দামের বদলে। তদন্ত করে সমস্ত রিপোর্ট নবান্নে পাঠিয়ে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চায় রাজ্য দুর্নীতি শাখা। এবং প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। এর পরেই সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা করা হয় ওই অফিসারের বিরুদ্ধে। আপাতত খোঁজ চালানো হচ্ছে ওই অফিসার পৈতৃকসূত্রে কি কি সম্পত্তি পেয়েছেন, নতুন সম্পত্তির লেনদেন কাদের মাধ্যমে এবং কিভাবে হয়েছে, ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নিয়েছিলেন কিনা ইত্যাদি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা।

কোনো সম্পত্তিকর তিনি ফাঁকি দিয়েছেন কিনা, তাও দেখা হবে এবার। অন্যদিকে এই দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসার পরেই তীব্র কটাক্ষ শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী শিবিরগুলি। বিশেষজ্ঞদের মতে, খোদ নবান্ন থেকে এরকম দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তির মুখে তৃণমূল শিবির। তবে মনে করা হচ্ছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবির সমস্ত রকম দুর্নীতির দায়ভার থেকে মুক্ত হতে চাইছে। আর সে কারণেই উক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কি বিতর্ক পিছু ছাড়বে রাজ্যের শাসকদলের? তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!