এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতার মঞ্চে হয়নি জায়গা, অভিমানে দল ছাড়ার কথা বললেন হেভিওয়েট নেতা

মমতার মঞ্চে হয়নি জায়গা, অভিমানে দল ছাড়ার কথা বললেন হেভিওয়েট নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমান রাজ্য রাজনীতিতে শাসকদলের ঘর ভাঙার খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে বিরোধীরা যেখানে দাবি করছে যে তৃণমূল থেকে অনেক কর্মী বিরোধী শিবিরে যোগদান করছে, সেখানে তৃণমূলের তরফ থেকে যদিও সেই অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা যেভাবে দলের ওপর ক্ষুব্ধ, সেখানে দলের উচিত একটু সাবধানী হওয়ার।

কিন্তু এরই মধ্যে তৃণমূলের সামনে নতুন সমস্যা উপস্থিত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেখানে বিরোধীদের মুখে কথা যুগিয়ে আবারও উঠে এসেছে গোষ্ঠী কোন্দলের প্রসঙ্গ। বস্তুত, মঞ্চে জায়গা না দেওয়ার দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা। জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচবিহারের সভায় মূলমঞ্চে জায়গা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় পুরপ্রশাসক ভূষণ সিংহ।

নেপথ্যে জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। এক্ষেত্রে ভূষণ সিংহের অভিযোগ, পার্থবাবু তাঁকে ‘ইচ্ছে করে অসম্মান’ করেছেন। বস্তুত, কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে মমতার জনসভা ছিল। সেই সভায় তিনটি মঞ্চ করে সেখানেই তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জানা যায়।

কিন্তু ভূষণবাবুর অভিযোগ, মূল মঞ্চে অর্থাৎ যেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে তাঁর ওঠার কোনও অনুমতি ছিল না। কারণ, প্রতিটি মঞ্চে কারা থাকবেন, তার আলাদা তালিকা করা হয়েছিল। আর সেই তালিকা হিসেবেই এই বন্দোবস্ত। আর যেহেতু সেই তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই ভূষণবাবুর অভিযোগ স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ওপর পড়েছে। তাঁর অভিযোগ, বুধবার তিনি যখন মূল মঞ্চে উঠতে যান, সেই সময় তাঁকে নিরাপত্তাকর্মীরা আটকে দেন। তাঁকে মূল মঞ্চের পাশের একটি মঞ্চে যেতে বলা হয়। কিন্তু ভূষণবাবুর কথায় জানা গেছে, ওই পাশের মঞ্চে বসে ছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত এবং অঞ্চল স্তরের নেতারা।

কিন্তু তাঁর কথায়, তিনি পুরপ্রশাসক। সেইসঙ্গে যে মাঠে ওই সভা হচ্ছে, সেটি তাঁরই পুর এলাকার মধ্যে পড়ে বলেও জানান তিনি। আর সেখানেই তাঁকে মূল মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় অসম্মানিত বোধ করেছেন বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে ওই মঞ্চে যেতে বলায় খুবই আপমানিত বোধ করছি। আমি ওই মঞ্চে না উঠে, নীচে নেমে আসি।”

সেইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “মূল মঞ্চে যদি উঠতেই না পারি, তা হলে আর আমার কী দাম থাকল! মূল মঞ্চে কিন্তু জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ লোকেরাই ছিল।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি এই সভার জন্য জেলা সভাপতিকে সব রকম ভাবে সাহায্য করেছি। প্রস্তুতির সব কিছু তো বটেই, বাঁশ বাঁধার সময়েও আমি ছিলাম। তার এই প্রতিদান! মূল মঞ্চেই আমাকে উঠতে দিল না!’’

তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলার সাধারণ সম্পাদক ও কোর কমিটির সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ জানিয়েছেন, মূল মঞ্চে কারা থাকবেন সেই তালিকা রাজ্য স্তর থেকে ঠিক করা হয়। মঙ্গলবার বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী একটি বৈঠক করেন। জেলার পাঁচটি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীরাও সেখানে ছিলেন বলেই জানান তিনি। তাই ভূষণবাবুর যদি কোনও রাগ বা ক্ষোভ থেকে থাকে সেটা প্রকাশ্যে এ ভাবে না বললেই ভালো হত বলেই মনে করছেন তিনি।

তাঁর মতে, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নেওয়াই ভাল ছিল। যদিও ভূষণ বাবুর কথায়, এই ঘটনার পর তাঁর দল ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছে হলেও, তিনি এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্ত বিষয় অভিযোগ আকারে জানাবেন বলেই স্থির করেছেন। যদিও অন্যদিকে, এই বিষয় নিয়ে পার্থপ্রতিমবাবুর তরফে কিছু জানা যায়নি বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!