এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মুখ্যমন্ত্রীর জলস্বপ্ন প্রকল্পে গতি আনতে নতুন নির্দেশ নবান্ন থেকে, প্রকল্পের আওতাভুক্ত এবার অন্যান্য

মুখ্যমন্ত্রীর জলস্বপ্ন প্রকল্পে গতি আনতে নতুন নির্দেশ নবান্ন থেকে, প্রকল্পের আওতাভুক্ত এবার অন্যান্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলেছিলেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো জলস্বপ্ন প্রকল্প। গ্রামাঞ্চলে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াই এই প্রকল্পের একমাত্র লক্ষ্য। গত বছরের জুলাই মাস থেকে এই প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই জলস্বপ্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও খুব বেশিদূর এই প্রকল্প প্রসারতা পায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসলেন বিভিন্ন সরকারী স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই মর্মে সমস্ত জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

জলস্বপ্ন প্রকল্পের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে অন্তত দু কোটি বাড়িতে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে। পাশাপাশি এই প্রকল্পের জন্য 58 হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার সীমারেখা ধার্য করা হয়েছে। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার শুধুমাত্র দু’কোটি বাড়ি নয়, এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়ে গেল বিভিন্ন সরকারি স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যসচিব জলস্বপ্ন প্রকল্পে আরও গতি আনতে চাইছেন। সে কারণে জেলাশাসকদের এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী যে নির্দেশনামা পাঠিয়েছেন জেলাশাসকদের তা হল- বিভিন্ন জেলায় জলস্বপ্ন প্রকল্পের রিভিউ করতে হবে নিয়মিত জেলাশাসকদের। পাশাপাশি এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি কেনার কথা চিন্তা করতে হবে। এবং যদি কোন জেলায় পরিত্যক্ত সরকারি জমি পড়ে থাকে, তাহলে তা জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজের জন্য ব্যবহার করতে হবে। একই সাথে স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে জলস্বপ্ন প্রকল্পের দ্বারা যাতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

এবং সর্বোপরি প্রতি সপ্তাহে প্রকল্পের কাজের পর্যালোচনা করে মাসের শেষ সপ্তাহে সমস্ত পদক্ষেপ পালন করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জেলাশাসককে জমা দিতে হবে নবান্নে। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জলস্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় একে একে যেভাবে স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে। কার্যত এই প্রকল্প যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে নির্দ্বিধায় বলা যাবে, গ্রামাঞ্চলে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের কোন অসুবিধা আর হবেনা। আপাতত এই প্রকল্প সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়িত হয় কিনা সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!