মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে এবার জবাব দিলেন বাবুল কলকাতা রাজ্য November 5, 2019 ইজরায়েলি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএর বিরুদ্ধে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে আড়িপাতার অভিযোগ নিয়ে যখন দেশ তোলপাড়, ঠিক সেই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ট্যাপ করা হয়েছে এই অভিযোগ আগেও উঠেছে। লোকসভা ভোটের সময়ও নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র অভিযোগে বিদ্ধ করেছিলেন। বিদেশি সংস্থার বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপে বেআইনিভাবে আড়িপাতার মারাত্মক অভিযোগের বিরুদ্ধে এবার ভারত সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। ঠিক এই অবস্থায় শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন এই নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী ফোন ট্যাপিং নিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তীব্র কটাক্ষ সহযোগে বলেছেন, ‘দিদির ফোন ট্যাপ করে বিজেপির কোন লাভ নেই। আমরা এমনিই জিতব।’ এরপরে রাজ্যের পুলিশ আধিকারিক সম্পর্কে বাবুলের বক্তব্য হলো, ‘পশ্চিমবঙ্গের একটা ওপেন সিক্রেট রয়েছে। যা দেড় বছর ধরে সবাই জানেন। ওনার একজন প্রিয়পাত্র পুলিশ অফিসার যাঁকে ব্যবহার করা হয়েছে, সেই অফিসার ইজরায়েলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একটা সফটওয়্যার এনেছিলেন। সেটাতে সবার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে। ফোনে আড়িপাতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরব হয়েছেন এবার।শনিবার তিনি বলেন, ‘আমার ফোন ট্যাপ হচ্ছে। আমার কাছে খবর আছে। কিভাবে ফোন ট্যাপ করে? সরকারই তো আমার ফোন ট্যাপ করছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই কথার পাল্টা জবাব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘যা ঘটনা ঘটে সব থেকে আগে উনি ভীত সন্ত্রস্ত হন। সে হাজার কোটি টাকার আর্থিক স্ক্যাম বা অন্য কিছু। সবকিছুতেই ওনার মনে হয় ওনাকেই টার্গেট করা হচ্ছে। উনিই তো একমাত্র নন-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী নন। কই তাঁরা তো কিছু বলছে না।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপরে রাজ্যের এক পুলিস আধিকারিকের প্রসঙ্গ টেনে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘এটা জানার পরে সংবাদমাধ্যমেরও গোপন খবর নিতে হোয়াটসঅ্যাপ কল ইউসি করতেন। তাই হোয়াটসঅ্যাপের যে ওয়ালগুলো রয়েছে সেগুলো ইনক্লুডেড হতে পারে। বহু মানুষকে সিগন্যাল নামে সফটওয়্যার ডাউনলোড করানো হয়েছিল। সবাই বলতো ওটার দাম 27 কোটি না 57 লাখ এরকম কিছু। শুধু বিরোধী নেতাদের নয়, দিদির ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরা পর্যন্ত সাধারণ ফোনে কথা বলতে ভয় পান। মন্ত্রী-আমলা সবাই জানেন নজরদারি চলছে। দেশের মধ্যে সবথেকে আগে দিদি প্রত্যক্ষভাবে ফোনে আড়িপাতার ব্যবস্থা করেছিলেন।’ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা পশ্চিমবঙ্গে জিতব। দিদির ফোন ট্যাপ করে বিজেপির কোনও লাভ নেই। এইসব কথা শোনার মত সরকারের কোনো অভিপ্রায় নেই। আমরা এমনি জিতব।’ ফোন ট্যাপ নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তবে ইতিমধ্যে জানা গেছে, নজরদারি বিতর্কে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকেও নজরদারি চালানো ওই ইজরাইলি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের তরজা ক্রমশ জমে উঠেছে। আপাতত ফোন ট্যাপ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফ থেকে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সেদিকেই নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -