এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে অচেনা নম্বর থেকে বারবার ফোন , খতিয়ে দেখছে পুলিশ কমিশনার

মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে অচেনা নম্বর থেকে বারবার ফোন , খতিয়ে দেখছে পুলিশ কমিশনার


রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের দুরভাষ যন্ত্রটি সবসময় ব্যস্ত থাকে। কারণ, বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কারণে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সাহায্যপ্রার্থী থেকে শুভাকাঙ্ক্ষী প্রত্যেকেই যোগাযোগ রাখেন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে। অন্যদিকে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের যখন এহেন মোবাইল নামক যন্ত্রটিকে সামলাতে হয় এভাবে, তখ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মোবাইল ফোন যে অহরহ ব্যস্ত থাকবে সে কথা বলাই বাহুল্য। অনেক সময় কাজের মাঝে যদি বারংবার ফোন আসে, তাহলে আমরা সাধারণ মানুষই চূড়ান্ত বিরক্ত হই। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর মতন অতি ব্যস্ত মানুষের মোবাইলে যদি 22 বার ফোন আসে তাহলে ব্যাপারটি কি তা একটু খতিয়ে দেখতে হয়।

আর তাই এবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার জন্য। সূত্রের খবর, বুধবার নবান্নে বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সেইসময় তাঁর ফোন বেজে ওঠে হঠাৎ করে। বৈঠকের মাঝে ফোন বেজে ওঠায় নিতান্তই বিরক্ত হন তিনি। এরপরই তিনি কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন, ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার জন্য। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোন একটি নির্দিষ্ট নাম্বার থেকে অন্তত 22 বার তাঁর মোবাইলে ফোন এসেছে।

কিন্তু যে নাম্বার থেকে ফোন আসছে, সে নাম্বারটি অজানা। অন্যদিকে বারংবার যদি একই নাম্বার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে ফোন আসে, তাহলে অবশ্যম্ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর ফোনটি অন্যান্য লাইনে ব্যস্ত দেখাবে। কারণে অকারণে ফোন সবারই আসে। কিন্তু রাজ্যের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে যদি অকারণে তাঁর ফোন বেজে ওঠে বারংবার, তাহলে অবশ্যই বিরক্তির কারণ। অন্যদিকে দলীয় সূত্রে খবর, নিজের দলে এবং সরকারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব নম্বর আর কাউকে দেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ, অন্যদের ক্ষেত্রে ফোন সব সময় ধরা সম্ভব হয় না কাজের মাঝে। যদিও তিনি নিজের দলের নেতা মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন, সব সময় যাতে প্রত্যেকের ফোন ধরা হয়। নাহলে অন্যান্যদের সমস্যা জানার ব্যাপারটি ধামাচাপা পড়ে যাবে। এর আগে রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেত না বলে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ জমে ছিল। সে কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ। তবে নির্দিষ্ট নাম্বার থেকে 22 বার ফোন আসার ব্যাপারটি সত্যি সন্দেহজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপাতত এই ফোন নাম্বারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই নাম্বার সংক্রান্ত ব্যাপারটি বিস্তারিত আলোচনা কারো সঙ্গেই করেনি রাজ্য পুলিশের উচ্চস্তর। অন্যদিকে তৃণমূল দলের অনেকেই এই ঘটনায় বিরোধীদের চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন। তবে কি সত্যিই মুখ্যমন্ত্রীকে অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করতে না দেওয়ার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বারংবার ফোন করে মুখ্যমন্ত্রীর নাম্বার বিজি রাখা হচ্ছে? পুরো ব্যাপারটাই রীতিমতো ধোঁয়াশাজনক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!