এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ হেভিওয়েট দলীয় বিধায়কের! বিজেপি যোগের আহ্বান

প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ হেভিওয়েট দলীয় বিধায়কের! বিজেপি যোগের আহ্বান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল অনেক আগেই। একুশের ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর গলায় আফসোস শোনা গিয়েছিল এজন্য। বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর নিজের দলের কর্মীদেরই দলের কর্মসূচিতে গাছাড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে বহুবার।

তবে নিজের দলেই ব্রাত্য হয়ে থাকার অভিযোগও তুলতে দেখা গিয়েছিল অনেককে। তবে এসব কিছুর পিছনেও বস্তুত পিকের নির্বাচনী প্রচারের সিদ্ধান্তকেই কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই দলের নির্বাচনী প্রচারে দলের একাধিক নেতা কর্মীদের থাকতে দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর বস্তুত এই সমস্ত কারণেই তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল যে আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠছে সেই কথাই রাজনৈতিকবিদরা মনে করছেন।

তবে এবার ফেসবুক পোস্টেই মুখমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করতে দেখা গেছে তৃণমূল বিধায়ককে। সেই সঙ্গে শোনা গেছে তাঁর বিজেপি যোগের সম্ভাবনাও। আর সেই নিয়ে তাই নিজের দলের কর্মীদেরই কটাক্ষের শিকার হতে দেখা গেছে তাঁকে। কখনো দলের রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করে, আবার কখনো ভোটের কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা করে ফেসবুকে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর কথায়, কোনো সংস্থাকে দিয়ে সংগঠন চালাতে গেলে, সেই সংগঠনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ১০০% বলেই দাবি করেছেন তিনি। আর তা শুনেই কোচবিহার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে দলের একাধিক কর্মীর মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। সেক্ষেত্রে প্রচারে থাকার মরিয়া চেষ্টা বলেই দাবি করেছেন কোচবিহার রাজ্য তৃণমূলের সদস্য পার্থপ্রতিম রায়।

সেইসঙ্গে কোচবিহার রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দলীয় বিধায়কের পদত্যাগের দাবি করেছেন বলেও জানা গেছে। যেখানে তাঁর কথায় যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তিনি মানুষ হয়েছেন, যাঁর জন্য তিনি বিধায়ক হতে পেরেছেন, তাঁর সম্পর্কে ফেসবুকে এভাবে কটাক্ষ করায় মিহিরবাবুর তৃণমূল বিধায়ক পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। অন্যদিকে, এরই মধ্যে গত মাসে ২৯ তারিখ বিধায়কের বাড়িতে যেতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে।

আর যা নিয়ে বিধায়কের বিজেপি যোগের সম্ভাবনাও তীব্র হয়ে উঠেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তাদের সাক্ষাৎকার সৌজন্যতার খাতিরেই হওয়ার কথা বলা হলেও তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। সেইসঙ্গে এর পরের দিনই দলীয় বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দুই মন্ত্রীকে বিনা দেখাতেই ফিরে আসতে হয়। আর তারপর থেকে দলের অন্দরে ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করা নিয়ে উত্তপ্ত হতে থাকে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের অন্দরমহল।

যদিও এ বিষয়ে কোচবিহারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, শুধু মিহিরবাবুই নয় আরো অনেক নেতারাই নাকি তাদের যোগাযোগ করেছেন। তবে এক্ষেত্রে মিহীরবাবুর ব্যাপারকে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলেই এড়িয়ে গেছেন তিনি। তবে ভবিষ্যতে যদি এমন কোন নেতা মন্ত্রী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে চান, তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে সাদরে আহবান জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!