মুখ্যমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়িয়ে এবার বিজেপি-আরএসএসের দাবি আরও জোরালো করলেন অধীর চৌধুরী কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য October 14, 2019 উৎসবের আবহে ঘটে গেছে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। দশমীর দিন জিয়াগঞ্জের এক স্কুল শিক্ষক, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, এবং ছেলেকে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা খুন করে। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা কিভাবে ঘরে ঢুকে একের পর এক হত্যালীলা চালিয়ে গেল, সে প্রশ্ন সবার মনে। এলাকাবাসীরা দশমীর দিন মৃত শিক্ষকের বাড়ি থেকে কোনো আওয়াজ না পাওয়ায় তাঁর বাড়িতে ঢোকে এবং বাড়িতে ঢোকার পর তাঁরা দেখেন তিন-তিনটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। নৃশংস ভাবে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই বাংলার রাজনীতির প্রাঙ্গণে রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের সুর সপ্তমে তুলেছেন। আগেই বিজেপি, আরএসএস পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছে। এবার একই সুরে সুর মিলিয়ে কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীও বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষে কথা বললেন। একইভাবে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী তৃণমূল কে সতর্ক করেছেন। শুক্রবার লোকসভায় তিনি বিজেপি আরএসএস এর মতো একইভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর হেনেছেন। রাজ্য বিজেপি নেতারা ইতিপূর্বে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা বলেছে। তাঁদের সুরের সুর মিলিয়ে এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে অবশ্যই রাষ্ট্রপতি শাসন জরি করা উচিত। তিনি আরো বলেছেন, বিজেপি নেতারা যদি রাষ্ট্রপতি শাসনের বিষয়টিকে এতটাই গুরুত্ব দেন, তাহলে বাইরে থেকে আওয়াজ না তুলে তাদের সরাসরি কাজে নামা উচিত। এদিন অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরেই সারদা তদন্ত হঠাৎ করেই থমকে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর কোন আলাদা চুক্তি হয়েছে ? অধীর চৌধুরীর যুক্তি অনুযায়ী, বিজেপি নেতারা এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেও আদতে কিছুই হবেনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দশমীর দিন মুর্শিদাবাদে আরএসএস এর এক কর্মী ও তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিরোধী দল অর্থাৎ বিজেপি এবং আরএসএস দাবি করে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এবং এরপরই তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলে সোচ্চার হয়েছেন। আরএসএস এর সিনিয়র নেতা এবং আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলক কুমার জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের শাসনভার রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হোক। এ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনা করার সময় এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসনকার্য ভারতীয় সংবিধান অনুসারেই চলা উচিত। আরএসএস নেতা আরো বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দেবে। অন্যদিকে আরএসএসের পশ্চিমবঙ্গ সম্পাদক জিষ্ণু বসু জানিয়েছেন, তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁর পরিবারকেও একইভাবে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশন ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যপাল ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন এই বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা যাবে না। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষ দাবি তুলেছেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা, পুলিশ তদন্ত করে তাদের খুঁজে বার করুক এবং দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দিক। সমগ্র পরিস্থিতির দিকে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের এবং রাজ্যের রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের সতর্ক নজর রয়েছে। আপনার মতামত জানান -