এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুখ্যমন্ত্রীর সাজানো বাগান কি এবার শুকিয়ে যাবার মুখে? দলত্যাগীকে দলে ফিরবার কাতর আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রীর সাজানো বাগান কি এবার শুকিয়ে যাবার মুখে? দলত্যাগীকে দলে ফিরবার কাতর আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ নির্বাচনের প্রথম দিনেই এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল বঙ্গ রাজনীতি। আজ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পালকে ফোন করে তাঁকে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের বিশেষ অনুরোধ জানালেন। মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ তাঁর হয়ে তিনি প্রচার করুন, তাঁকে সাহায্য করুন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া এই নেতা।

মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা প্রলয় পালের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ আজ সামনে এনেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এছাড়া বিজেপির আইটি সেল এর সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত মালব্যও এমন একটি অডিও ক্লিপ সামনে এনেছেন। যদিও এটির সত্যতা বিচার করে দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এই অডিও ক্লিপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা প্রলয় পালের কথা শোনা যাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রলয় পালকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে, তিনি অনেক ইয়ং ছেলে, অনেক কাজ তিনি করেছেন। এবার তিনি তাঁদের একটু সাহায্য করুন। এতে তার কোন অসুবিধা হবে না। এর উত্তর প্রলয় পাল জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই তাঁর পরিবার রাজনীতিতে এসেছিল। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যেদিন শপথ নিয়েছিলেন, যেদিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল সেদিন পাঁচজন ব্রাহ্মণকে ডেকে হোম যজ্ঞ করে মিটিং-মিছিল করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর খারাপ লেগেছে, এত কিছু করেও একটা রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট দেয়া হয়নি তাঁকে। এর চেয়ে লজ্জার কিছু নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছেন, কে এটা করেছিল? তিনি জানান, তাঁদের স্থানীয় নেতাই নন্দীগ্রামের প্রবেশ করতে দিতো না। মেদিনীপুরে প্রবেশ করতে দিত না। তাদের জমিদারী চলত, যা তিনি জানেন। এরপর প্রলয় পাল জানালেন যে, তিনি একটা রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পাবেন না? এটা কখনোই হতে পারে না। এরপর মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি আছেন কি করতে? যে এটা করেছে, সে অন্যায় করেছে। বিজেপি নেতা প্রলয় পাল জানালেন, তিনি মহাদেব বাবুর হাতে মার খেয়েছেন, যিনি তৃণমূলের নেতা।

এর উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, এই সবকিছুই তিনি জানেন। পরে তিনি সব শুনেছেন। আগে তিনি এত ডিটেলস খবর রাখতেন না। এখন তিনি রাখছেন সবার খবর। এরপর প্রলয় পাল জানালেন যে, তিনি তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন। যে দল তিনি করেন, তার তার সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না। তিনি প্রাণ দিয়ে, জীবন দিয়ে দল করেন। তিনি দুনম্বরী করেছেন, কেউ তা বলতে পারবে না।

এরপর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেছেন যে, যাদের জন্য তিনি এখন বিজেপি করছেন, তাঁরা তো কোনদিন বিজেপি করেন নি। এখন যারা বিজেপি করছে, তাদেরকে কি তিনি বিশ্বাস করেন যে, তাঁরা সৎ? তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করবেন? এর উত্তরে বিজেপি নেতা প্রলয় পাল বলেন যে, যতদিন তিনি দলের সঙ্গে থাকবেন, ততদিন তিনি সৎ থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেছেন, যার জন্য তিনি লড়াই করছেন, তিনি কি তাঁর কাছে সৎ?

এর উত্তরে প্রলয় পাল জানালেন যে, সিপিএমের কাছে অত্যাচারিত হয়েছিলেন তিনি। তখন এই পরিবারই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণেই তাঁকে সমর্থন করেন তিনি। তিনি জানালেন শিশির অধিকারীর সঙ্গে তাঁর বাবার ৪০ বছরের সম্পর্ক। এরপর মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেদিন তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন বলেই, তৃণমূলের কাজ করতেন। সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁরাই প্রথম লড়াই করেছিলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন প্রলয় পাল। একজন সাধারণ কর্মীকে যে তিনি ফোন করেছেন, তাই তাঁকে তিনি অসংখ্য ধন্যবাদ জানান। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আবার বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করে ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে। আর মুখ্যমন্ত্রী যে তাকে ফোন করেছেন, এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন। আজ তাঁর কথা মুখ্যমন্ত্রীর মনে পড়েছে। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি করেন। তাঁদের প্রার্থী হলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পরিবারের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। একসময় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল এই অধিকারী পরিবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!