এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ বিজেপির রাজ্য সভাপতির

মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ বিজেপির রাজ্য সভাপতির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঘূর্ণিঝড় যশের ফলে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির যে হিসাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার সত্যতার উপরে সন্দেহ প্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ত্রাণ নিয়ে স্বজনপোষণ করা হচ্ছে। সরকারি ত্রাণ দেবার সময় রাজনৈতিক রঙ দেখা হচ্ছে। ঝড়ে ক্ষয় ক্ষতির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ক্ষতির যে প্রাথমিক হিসেবে দিয়েছেন, তার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঝড় আসার আগেই ক্ষয়ক্ষতি ঠিক করে রাখা হয়েছিল। ১৩৪ টি বাঁধ ভেঙে গেছে তা জানানো হয়েছে। তিনি জানেন না, মুখ্যমন্ত্রী এই হিসেব কোথা থেকে পেয়েছেন। আইলার পর রাজ্যে কতগুলি বাঁধ পাকা করা হয়েছিল? তা তিনি জানেন না। তিনি অভিযোগ করেছেন, আইলার পর থেকে যদি কাজ শুরু হতো, তাহলে এতো বাঁধ কি করে ভেঙে গেল?

বিজেপির রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তিনি জানান, এবারের ঝড়ে আমফানের মতো ক্ষতি হয়নি। তবে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনাবাহিনী সহযোগিতা করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান নিজে যোগাযোগ করেছেন, খোঁজখবর নিয়েছেন। বিজেপির কর্মীরা নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে এসেছেন শিবিরে। মানুষকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। ঝড়ে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? তা দলের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখার পর দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন করেছেন, আইলা ঝড়ের পর সুন্দরবনের পাকা বাঁধ নির্মাণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠিয়ে ছিল, সে টাকা কোথায় গিয়েছে? তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই রাজনীতি করছে যশকে নিয়ে। ঝড়ের আগেই কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা দিয়েছিল, তাতে খুশি হননি মুখ্যমন্ত্রী। উপকূলের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে এই টাকার পরিমাণ ঠিক করা হয়েছিল। তিনি জানালেন, যে তিনটি রাজ্যে ঝড়ের প্রভাব পড়েছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৩৪ টি বাঁধ ও ১০০০০ বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু তিনি এত তাড়াতাড়ি কিভাবে জানলেন?

তিনি জানান, আইলা ঝড়ের পর যে ৫,৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল, যা তৃণমূলের সময়কালেই এসেছিল। কেন্দ্রের পাঠানো এই টাকাতে নদীবাঁধ গুলি পাকা করে দেবার কথা ছিল। কিন্তু নদী বাঁধ কতটা পাকা করা হয়েছে? তা তিনি জানেন না। যদি বাঁধ পাকা করা হতো? তাহলে এই অবস্থা হতো না। আম্ফানের সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, ১০ লক্ষ কাঁচা বাড়ি ভেঙে গেছে। কিন্তু তাঁরা সরকারি তথ্য খতিয়ে দেখেছিলেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১০ লক্ষ কাঁচা বাড়ি ছিলই না। আর এখন জানানো হয়েছে যে, ১০ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু তিনি জানালেন, সমুদ্রের কাছাকাছি থাকা সবগুলো বাড়ি ভেঙে যায় নি। যে সমস্ত মানুষ ত্রাণ শিবিরে যাননি, তাদেরকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যশ আসার আগে থেকেই সমস্ত হিসাব করে রাখা হয়েছে বলে তাঁর অভিমত।

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, সঠিক তথ্য মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাহলে এ ব্যাপারে তিনি মানুষের সমর্থন লাভ করবেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণের অর্থ দেবে। অন্যদিকে, আজ ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সম্প্রতি কলাইকুন্ডাতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখানে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রিভিউ মিটিং এ থাকতে অসম্মতি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এর জন্য আলাদা সময় চেয়েছেন তিনি। রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে রিপোর্ট তুলে দেবেন। রিভিউ মিটিং এ উপস্থিত থাকবেন না তিনি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!