এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আজই মোদীর মুখোমুখি মমতা, পারদ তুঙ্গে, সরগরম রাজধানী!

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আজই মোদীর মুখোমুখি মমতা, পারদ তুঙ্গে, সরগরম রাজধানী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজনৈতিক সম্পর্ক তাদের মোটেই ভালো নয়। বর্তমানে দিল্লি সফরে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সদ্যসমাপ্ত বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শোরগোল তুলে দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তবে বিজেপি শত চেষ্টা করেও বাংলার ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তবে বিরোধী দলের জায়গা দখল করা বিজেপি প্রতিমুহূর্তে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে অন্যদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে বারবার নবান্ন থেকে সরব হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টি করে বিরোধী মহাজোট গঠনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফর করেছেন, ঠিক তেমনই বাংলার জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির কাছে বেশকিছু দাবি-দাওয়া রাখতে পারেন তিনি। আর সেই মতো করেই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম সরাসরি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই বৈঠককে কেন্দ্র করে জল্পনার পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে একাধিক বিষয় তুলে ধরতে পারেন তিনি। এক্ষেত্রে বাংলার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক প্যাকেজ দাবি করতে পারেন। শুধু তাই নয়, করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বৈরথ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই টিকা নিয়েও নিজের দাবি-দাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে সরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফর। সেদিক থেকে বিরোধী মহাজোট গঠনের জন্য তিনি যে প্রতিমুহূর্তে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, তা বলাই যায়। কিন্তু এসব রাজনৈতিক গতিবিধি হলেও, প্রশাসনিক গতিবিধি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সব সময় সরব হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে গিয়ে বাংলার জন্য কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইতে পারেন।

এক্ষেত্রে প্রশাসনিক আঙ্গিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার এই আবেদন নয়া মাত্রা যোগ করতে পারে বঙ্গ রাজনীতিতে। যেভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতি সময় সরব হতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং তার এই দিল্লি সফরের একটা বড় কারণ, কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরানোর জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, সেখানে সেই দিল্লি সফরে গিয়ে বাংলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি-দাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ কোথায় গিয়ে দাঁড় করায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!